সাগরপথে ইউরোপ যাত্রায় বাংলাদেশিদের অবস্থান শীর্ষে

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
সাগরপথে ইউরোপে পাড়ি জমানোর প্রবণতায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশ করেছেন ৯ হাজার ৭৩৫ জন বাংলাদেশি। ইউরোপীয় সীমান্ত রক্ষাকারী সংস্থা ফ্রন্টেক্স ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯২ হাজার ৪২৭ জনে।
এই যাত্রাপথকে বলা হয় ‘সেন্ট্রাল মেডিটেরিয়ান রুট’। মূলত লিবিয়া হয়ে এই রুটে পাড়ি জমান অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। যাত্রাপথে ভয়ংকর দুর্ভোগ ও বিপদের সম্মুখীন হন তারা। লিবিয়ার ক্যাম্পগুলোতে বন্দি হয়ে পড়েন ৬৩ শতাংশ যাত্রী। বন্দিদের মধ্যে ৯৩ শতাংশকে আটকে রেখে জিম্মি করা হয় এবং ৭৯ শতাংশ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। খাবার ও চিকিৎসার সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকে না। অনেকে প্রাণও হারান।
ব্র্যাকের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ৬০ শতাংশ স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে প্ররোচিত হন। ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, মুন্সিগঞ্জ, ও নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষদের সংখ্যা বেশি। দালালরা উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে বিপদগামী করছেন মানুষদের।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালেই মানবপাচার আইনে ১,০৩৪টি নতুন মামলা হয়েছে। আগের মামলাসহ বিচারাধীন রয়েছে প্রায় ৪,৫০০ মামলা। তবে এসব মামলায় আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার (৩০ জুলাই) পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানব পাচার বিরোধী দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সংঘবদ্ধ অপরাধ মানবপাচার, বন্ধ হোক শোষণের অনাচার’। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে পাচারকারীরা এখন আরও সক্রিয়। অপরদিকে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা দুর্বল। এই সংকট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পাশাপাশি দেশে কার্যকর নজরদারি ও জনসচেতনতা জরুরি।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।