পুলিশের বাঙ্কারেও দমন হয়নি ছাত্র জনতার বিক্ষোভ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
২০২৪ সালের ৩০ জুলাই, নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি দমন করতে পুলিশ বাঙ্কার নির্মাণসহ কড়া প্রস্তুতি নেয়। সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনির নেতৃত্বে থানার মূল ফটকে ও দোতলায় বিশেষ বাঙ্কার তৈরি করা হয়। থানা সংলগ্ন পেট্রোল পাম্পে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা যায়। একইসঙ্গে, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকেও মাঠে নামানো হয় আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করতে।
তবে পুলিশের সেই প্রস্তুতিকে উপেক্ষা করে নোয়াখালীর সড়কে নামেন শত শত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত এই বিক্ষোভে অংশ নেয় বিভিন্ন ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলও। প্রতিবাদে নারীদের সক্রিয় উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরকারি দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আক্রমণের প্রস্তুতি থাকলেও ছাত্র জনতার ব্যাপক সমাবেশ দেখে তারা পিছু হটে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে গন্তব্যে ফেরার সময় বিভিন্ন মোড়ে তাদেরকে যানবাহন থামিয়ে হেনস্তা করে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা।
আন্দোলনের অন্যতম নেতা আবুল ফারাহ রাজু বলেন, “সেই বিভীষিকাময় দিন আজও মনের মধ্যে আতঙ্ক হয়ে আছে। ৩৬ দিনের সেই ট্রমা থেকে আমরা এখনো মুক্ত হতে পারিনি।” তিনি আরও বলেন, “যদিও আমাদের অনেককে পথে পথে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, তারপরও আমরা বিশ্বাস করি—বাংলাদেশ আজ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। সেটাই সবচেয়ে বড় অর্জন।”
তিনি প্রত্যাশা করেন, “ভবিষ্যতে যেন আর কোনো সরকার স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে না পারে, সেটিই আমাদের একমাত্র দাবি।”
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।