ছাত্রজীবনেই লাখপতি হওয়ার স্কিলসেট, জেনে নিন সাফল্যের দরজা খুলে যাবে!

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ছাত্রজীবনে লাখপতি হওয়া এখন আর কোনো দুরূহ স্বপ্ন নয়। আধুনিক যুগে ডিজিটাল দক্ষতা ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তার ইনকাম করে আত্মনির্ভর হতে পারে, এমনকি অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও অর্জন করতে পারে। শুধু পড়াশোনা নয়, সময় ব্যবস্থাপনা, সঠিক দক্ষতা অর্জন ও স্মার্ট কাজ করার মাধ্যমে ধীরে ধীরে লক্ষাধিক টাকার ইনকামও সম্ভব।
যেকারণে ছাত্রজীবনে আয় শুরু করা জরুরি-
বর্তমান সময়ের চাকরি বাজার এবং প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কারণে শুধু একাডেমিক ফলাফল আর নয়, বিভিন্ন স্কিল থাকা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ভাবেই আয়ের সুযোগ রয়েছে। এই আয় শুধু অর্থের জন্য নয়, ভবিষ্যতের পেশাগত দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস অর্জনে সহায়ক।
ডিজিটাল স্কিল শেখার মাধ্যমে যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং বা কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, ফ্রিল্যান্সিং বিশ্বে প্রবেশের সহজ পথ খুলে দেয়। এই স্কিলগুলো আজকের বাজারে প্রচুর চাহিদাসম্পন্ন এবং অনলাইনে কাজের সুযোগও অনেক।
ফ্রিল্যান্সিং: Fiverr, Upwork, Freelancer-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট কাজ দিয়ে শুরু করে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে। লোগো ডিজাইন, ব্লগ লেখা, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে বড় বড় প্রজেক্ট পাওয়া পর্যন্ত সময় লাগতে পারে, তবে ধৈর্য ধরে কাজ করলে আয় বাড়ে।
অনলাইন ব্যবসা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে Facebook, Instagram পেজ খুলে নিজের পণ্য বিক্রি করা এখন সহজ। স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে টি-শার্ট, হুডি, হিজাব, কিংবা বই বিক্রি করা যায়। এছাড়া ড্রপশিপিং বা প্রিন্ট অন ডিমান্ড মডেলগুলোও পুঁজি ছাড়াই ব্যবসা শুরু করার সুযোগ দেয়।
শিক্ষাদান ও কন্টেন্ট ক্রিয়েশন: নিজের পড়াশোনা বা বিশেষ দক্ষতা অন্যদের শেখানোর মাধ্যমে অনলাইন টিউশন বা ওয়ার্কশপ করা যায়। পাশাপাশি YouTube, Facebook বা TikTok-এ শিক্ষামূলক ও তথ্যবহুল ভিডিও তৈরি করে মনিটাইজেশন থেকে আয় শুরু করা সম্ভব। এসব মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য ও ইতিবাচক কন্টেন্ট বানিয়ে দীর্ঘমেয়াদে আয় বাড়ানো যায়।
নেটওয়ার্কিং ও পোর্টফোলিও: নিজের কাজের প্রমাণ হিসেবে পোর্টফোলিও তৈরি করা খুবই জরুরি। GitHub, Behance কিংবা ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে নিজের প্রজেক্টগুলো শেয়ার করলে ক্লায়েন্ট বা নিয়োগকর্তাদের আস্থা বাড়ে। অনলাইন কমিউনিটি, ফেসবুক গ্রুপ ও ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ শিক্ষাকে আরও সমৃদ্ধ করে।
সঞ্চয় ও বিনিয়োগ: আয় করার পর সেটাকে সঠিকভাবে সঞ্চয় ও বিনিয়োগ করতে না পারলে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আসে না। আয় থেকে অন্তত ৩০% সঞ্চয় করা উচিত। ছোট আকারে ব্যবসা বা পশুপালন, ফিক্সড ডিপোজিট, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমে টাকাকে নিরাপদ রাখা যায় এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যায়।
যা এড়িয়ে চলা উচিত -
⇨ শুধু সার্টিফিকেট সংগ্রহের পেছনে সময় নষ্ট করা
⇨ সময় অপচয়কারী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা (অপ্রয়োজনীয় গেমিং, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং, অনর্থক চ্যাট)
⇨ সহজে টাকা আয়ের ফাঁদে পড়া
ছাত্রজীবনে লাখপতি হওয়া মানে শুধু টাকা উপার্জন নয়, বরং অর্থনৈতিক সচেতনতা, দক্ষতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সমন্বয়। দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা নিয়োজিত হয়ে একজন শিক্ষার্থী ১-২ বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সঞ্চয় ও আয় অর্জন করতে পারে। সময়ের সঠিক ব্যবহার, ধৈর্য্য ও একাগ্রতা এই পথে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
নিজের ইনকামের ওপর ভিত্তি করে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন এখন হাতের মুঠোয়। তুমি পারবে, কারণ সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রম তোমার লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথ সুগম করবে। আজ থেকেই শুরু করো, এবং ধীরে ধীরে গড়ো তোমার লাখপতির গল্প।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।