শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতি, জামায়াত নেতা বরখাস্ত

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষর স্ক্যান করে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাছেন আলীর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে তিনি ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির। জালিয়াতির অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩১ জুলাই তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দলীয় পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেয় জামায়াতে ইসলামীর লালমনিরহাট জেলা কমিটি।
জেলা আমির আবু তাহের জানান, অভিযোগ জানাজানির পর জরুরি বৈঠকে বসে জেলা কমিটি। সেখানে দলীয় ভাবমূর্তি রক্ষায় হাছেন আলীকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় এবং সেক্রেটারি রফিকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।
জানা গেছে, কলেজটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর অধ্যক্ষ পদ নিয়ে একাধিক ব্যক্তির দাবি ওঠে। এতে শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। এ পরিস্থিতিতে কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও হাতীবান্ধার ইউএনও শামীম মিঞা চলতি বছরের ১৩ মে হাছেন আলীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর হাছেন আলী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে ১৩টি শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ফাইল পাঠান, যেখানে ইউএনওর স্বাক্ষর স্ক্যান করে বসানো হয় বলে অভিযোগ উঠে।
ইউএনও শামীম মিঞা বলেন, ‘আমি কোনো নিয়োগ ফাইলে স্বাক্ষর দিইনি। অনুমতি ছাড়াই আমার স্বাক্ষর স্ক্যান করে জমা দেওয়া হয়েছে। এটি একটি সুস্পষ্ট জালিয়াতি।’ তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে একাধিকবার ফোন করেও অভিযুক্ত হাছেন আলীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।