দেশে খাদ্যশস্য মজুদ ২১ লাখ টনের বেশি

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকালের এক বছরে খাদ্যশস্য মজুদের পরিমাণ ২১ লাখ ৩১ হাজার টনে পৌঁছেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সরকারি খাতে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার টন চাল এবং এক লাখ ৭৭ হাজার টন গম মজুদ রয়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও পাঁচ লাখ টন চাল এবং চার লাখ টন গম আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকারি খাতে ৩৩ লাখ পাঁচ হাজার টন খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর সঙ্গে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় খাদ্যশস্য বিতরণে প্রায় ৪৪ হাজার টনের বৃদ্ধি হয়েছে। গম আমদানির উৎস বহুমুখীকরণের ফলে যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, বুলগেরিয়া ও ইউক্রেন থেকে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সরকারি খাদ্যশস্য সংরক্ষণের সক্ষমতা বর্তমানে ২৩ লাখ ৮৮ হাজার টনে উন্নীত হয়েছে। মধুপুর, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জে চারটি আধুনিক সাইলো নির্মাণের ফলে এই সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এটি ২৬ লাখ ৮৪ হাজার টনে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, বর্তমানে মজুদ পর্যাপ্ত হলেও তা ঝুঁকিপূর্ণ নয় এবং আরও বাড়ানো প্রয়োজন। ইতোমধ্যে দুই লাখ টন চাল ও গম কেনার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে সাড়ে পাঁচ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বন্যার প্রভাব কম হওয়ায় ফসলের ক্ষতি আশঙ্কা কমে এসেছে।
দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদনের জন্য জমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় সরকারের সামনে বৃহৎ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সরকারি উদ্যোগে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করার চেষ্টা চলছে। সরকারের পরিকল্পনা ৩০ লাখ টনে খাদ্যশস্য সংরক্ষণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
বর্তমানে সাতটি সাইলো নির্মাণাধীন রয়েছে, প্রতিটি সাইলোতে প্রায় ৫০ হাজার টন খাদ্যশস্য রাখা যাবে। তবে কিছু সাইলো নির্মাণ স্থানের বিষয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে টাঙ্গাইলের মধুপুরে একটি সাইলো নির্মাণকাজে অতিরিক্ত ব্যয় ও পরিবহন সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের আওতায় চালু ‘ওপেন মার্কেট সেলিং’ (ওএমএস) কার্যক্রম দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দ্রব্যমূল্য আনার জন্য এ কার্যক্রম ঢাকাসহ সারাদেশে পরিচালিত হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চিনির আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ৩০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়েছে, যার ফলে চিনির আমদানি খরচ প্রতি কেজিতে ১১ টাকা ১৮ পয়সা থেকে ১৪ টাকা ২৬ পয়সা পর্যন্ত কমেছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।