শাপলা গণহত্যার বিচার নেই, জুলাই ঘোষণাপত্রে হতাশ হেফাজত

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন। তারা উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পঠিত জুলাই ঘোষণাপত্রে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরের নৃশংস গণহত্যার বিচার নিয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি বা উল্লেখ নেই। এতে তারা গভীর হতাশা ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই সময় শাপলা চত্বরের গণপ্রতিরোধের চেতনায় আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষার্থী ও তৌহিদি জনতা গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল। বহু জীবন ও রক্ত উৎসর্গ করেও শাপলা গণহত্যার বিচার ঘোষণাপত্রে এভাবে উপেক্ষিত হওয়া অগ্রহণযোগ্য। ওই সময় হেফাজতের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকলেও এই বিষয়টি deliberately বাদ দেওয়া হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
হেফাজতের নেতারা আরও উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালে দেশের ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদি জনতা শাহবাগী-আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও হিন্দুস্তানি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে একটি বিশাল গণজাগরণ গড়ে তুলেছিল। ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে নিরীহ আলেম ও শিক্ষার্থীদের ওপর যে নৃশংস গণহত্যা চালানো হয়, তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল। তারা বলছেন, এখনও শহীদদের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা সেই ভয়াবহ স্মৃতি থেকে মুক্তি পাননি এবং ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে ভয় পাচ্ছেন।
বিবৃতিতে তারা সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যে, শাপলা গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করার জন্য ট্রমাজনিত ভয় ও নিরাপত্তা উদ্বেগ দূর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। কারণ অপরাধীদের সাজানো প্রশাসন এখনো বহাল এবং প্রশাসন ও গোয়েন্দা ব্যবস্থায় যথাযথ সংস্কার হয়নি।
হেফাজতের বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, পতিত ফ্যাসিস্ট শাসনামলে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণপ্রতিরোধের প্রেরণা ছিল হেফাজতে ইসলাম। ২০১৩ সালের শাহবাগ আন্দোলন দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং ওলামায়ে কেরামের আত্মত্যাগ ভুলিয়ে দেওয়া যাবে না।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।