ইসরাইল সমর্থনকারী আরব দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি বার্তা দিল ইয়েমেন

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গাজার ওপর ইসরাইলি অবরোধে আরব ও মুসলিম বিশ্বের কিছু দেশের জড়িত থাকার ঘটনাকে “গভীর লজ্জাজনক” বলে মন্তব্য করেছে ইয়েমেনি আনসারুল্লাহ আন্দোলন। আন্দোলনের রাজনৈতিক ব্যুরোর সিনিয়র সদস্য হিজাম আল-আসাদ স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, ইসরাইলের সাথে সহযোগিতাকারী যে কোনো শিপিং কোম্পানিকে ইয়েমেনি নৌ অভিযানের আওতায় আনা হবে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে হিজাম আল-আসাদ জানান, গাজার জনগণের প্রতি সমর্থন ও ইসরাইলি আগ্রাসন ঠেকাতে ইয়েমেন নৌ অভিযানের চতুর্থ ধাপ শুরু করছে। এই ধাপে শুধু ইসরাইলি মালিকানাধীন বা পরিচালিত জাহাজ নয়, বরং যেসব কোম্পানি ইসরাইলের বন্দরে যাতায়াত করে বা পণ্য সরবরাহ করে, তাদেরও লক্ষ্যবস্তু করা হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, সংশ্লিষ্ট শিপিং কোম্পানি আরব, মুসলিম বা অন্যান্য দেশের হোক না কেন, ইসরাইলের সাথে সহযোগিতা করলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
হিজাম আল-আসাদ বলেন, “গাজার জনগণের বিরুদ্ধে চলমান অবরোধে কিছু আরব ও মুসলিম সরকারের অংশগ্রহণ লজ্জার বিষয়। মুসলিম বিশ্বের জন্য এটি গভীর অপমানের।” তিনি আরো দাবি করেন, গাজায় মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে এবং অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি ও ওষুধের মতো জরুরি সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
ইয়েমেনি আনসারুল্লাহ আন্দোলন, যা হুথি বিদ্রোহী হিসেবেও পরিচিত, গত কয়েক মাস ধরে লোহিত সাগর ও আশপাশের এলাকায় ইসরাইল-সম্পর্কিত নৌযানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে। সংগঠনটি বলছে, এসব অভিযান গাজার প্রতি সংহতির অংশ এবং ইসরাইলকে অবরোধ প্রত্যাহারে চাপ দেওয়ার কৌশল।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান এই উত্তেজনা কেবল সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্যও নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ইয়েমেনের এই ঘোষণা লোহিত সাগর ও আশপাশের সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।