পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে বিশেষ গ্রাফিতি অঙ্কনের কাজ চলছে, যা জুলাই শহীদ ও গণঅভ্যুত্থান দিবসের বীরত্বগাথা তুলে ধরবে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ম্যুরালে এ বিশেষ শিল্পকর্মের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের বীরত্ব, আত্মত্যাগ ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে একীভূত করে ইতিহাস ও নান্দনিকতার এক অনন্য শিল্পরূপ তৈরি করা হচ্ছে।
শুক্রবার সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের বৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতুর সংলগ্ন ম্যুরালে আঁকা এই গ্রাফিতি কেবল সৌন্দর্যের সংযোজন নয়, বরং নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির সংগ্রামী অতীতকে জীবন্তভাবে উপস্থাপনের এক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। শিল্পীরা সৃজনশীলতার মাধ্যমে ১৯৭১-পরবর্তী রাজনৈতিক আন্দোলন ও জনগণের মুক্তিকামী চেতনা ফুটিয়ে তুলছেন, যা দর্শকদের কাছে ইতিহাসকে আরও কাছের করে তুলবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ গ্রাফিতি অঙ্কনের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তিনি কাজের মান ও বার্তাকে প্রশংসা করে বলেন, “জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও শহীদের আত্মত্যাগ জাতির চিরন্তন সম্পদ। এই গ্রাফিতি সেই গৌরবগাঁথা ইতিহাসকে শিল্পের মাধ্যমে ধারণ করেছে।” তার মতে, শিল্প ও স্থাপত্যের এই সংমিশ্রণ শুধু দৃষ্টিনন্দন নয়, বরং এটি হবে জাতীয় গৌরবের প্রতীক।
সেতু কর্তৃপক্ষ আশা করছে, কাজ শেষ হলে পদ্মা সেতুর এই ম্যুরাল ও গ্রাফিতি পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠবে। স্থানীয়রা মনে করছেন, এটি দেশের ইতিহাসচর্চা ও সাংস্কৃতিক চেতনা জাগ্রত করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, ম্যুরালের প্রতিটি অংশ পরিকল্পিতভাবে আঁকা হচ্ছে, যেখানে রঙ, আকার ও প্রতীক ব্যবহারের মাধ্যমে ইতিহাসের নানা মুহূর্ত তুলে ধরা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে সেতুর দুই প্রান্ত যেন শুধু যাতায়াতের কেন্দ্র নয়, বরং সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক তাৎপর্যের এক স্মারকস্থানে পরিণত হবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে, যাতে দর্শনার্থীরা নির্বিঘ্নে শিল্পকর্ম উপভোগ করতে পারেন।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।