বিমানে আগুনের ঝুঁকি রুখতে পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে নতুন নিয়ম

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইভিত্তিক বিমান সংস্থা এমিরেটস ঘোষণা করেছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে তাদের ফ্লাইটে যাত্রীরা আর পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে যাত্রীরা একটি পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে বহন করতে পারবেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, কারণ পাওয়ার ব্যাংকের মধ্যে থাকা লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ভুলভাবে ব্যবহার বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
এমিরেটসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে একটি ইলেকট্রোলাইট দ্রবণে আয়ন স্থগিত থাকে। চার্জ এবং ডিসচার্জ প্রক্রিয়ায় এই আয়ন দুটি ইলেকট্রোডের মধ্যে আসা-যাওয়া করে। কিন্তু যদি ব্যাটারি অতিরিক্ত চার্জ হয় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে “থার্মাল রানঅ্যাওয়ে” নামে পরিচিত বিপজ্জনক একটি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।
“থার্মাল রানঅ্যাওয়ে” হলো এমন এক স্বয়ং-ত্বরান্বিত তাপ উৎপাদন প্রক্রিয়া, যেখানে ব্যাটারির ভেতরে তাপের উৎপাদন তার তাপ অপসারণের ক্ষমতার চেয়ে বেশি হয়ে যায়। এর ফলে ব্যাটারির তাপমাত্রা দ্রুত ও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে যায়। এমিরেটস সতর্ক করেছে, এই পরিস্থিতিতে ব্যাটারি থেকে আগুন লাগতে পারে, বিস্ফোরণ ঘটতে পারে এবং বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হতে পারে।
এমিরেটস জানিয়েছে, যাত্রীরা ফ্লাইটে পাওয়ার ব্যাংক বহন করতে চাইলে সেটি অবশ্যই হাতে নেওয়া লাগেজে রাখতে হবে, চেক-ইন লাগেজে নয়। এছাড়া পাওয়ার ব্যাংকের ক্ষমতা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মান অনুযায়ী নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকতে হবে।
বিমান পরিবহন শিল্পে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ঝুঁকি নতুন নয়। বিশ্বজুড়ে অনেক এয়ারলাইনই এর আগে পাওয়ার ব্যাংক ও লিথিয়াম-আয়ন ডিভাইসের জন্য কড়া নিয়ম চালু করেছে। তবে এমিরেটসের এই নতুন সিদ্ধান্ত বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কারণ এটি সরাসরি পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে, যা যাত্রীদের ভ্রমণ অভ্যাসে প্রভাব ফেলতে পারে।
এয়ারলাইনটি যাত্রীদের অনুরোধ করেছে, ভ্রমণের আগে পাওয়ার ব্যাংক সম্পর্কিত আপডেটেড নীতি সম্পর্কে ওয়েবসাইট বা কাস্টমার সার্ভিসের মাধ্যমে তথ্য যাচাই করে নিতে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।