সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে মহানগর পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং তদন্তে অপরাধের প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, এই হত্যাকাণ্ডে অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনায় জড়িত ৪-৫ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টার দিকে ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মসজিদ মার্কেটের সামনে ফুটপাত দিয়ে হাঁটছিলেন সাংবাদিক তুহিন। হঠাৎ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় স্থানীয়রা আতঙ্কে ছুটোছুটি করলেও দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
মো. আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করছিলেন তিনি।
এ হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় সাংবাদিক মহল ও সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তারা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। নিহতের সহকর্মীরা জানান, তুহিন ছিলেন সৎ, নির্ভীক ও পেশাদার সাংবাদিক, যিনি সবসময় সমাজের অনিয়ম তুলে ধরতে সচেষ্ট ছিলেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করছি। শিগগিরই মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।”
এদিকে তুহিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার ঘটনায় শহরজুড়ে নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিচার দাবি করে নানা পোস্ট শেয়ার করছেন সহকর্মী, বন্ধু ও সাধারণ মানুষ।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।