ভারতে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, পাইলটরা নিরাপদে বেরিয়ে আসেন

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ভারতের মধ্যপ্রদেশে একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দুজন পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী এলাকার কাছে ‘মিরাজ–২০০০’ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কারিগরি ত্রুটির কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আইএএফ-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিয়মিত প্রশিক্ষণ চলাকালীন বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তবে দুর্ঘটনার সময় বিমানে থাকা দুজন পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন।
গোয়ালিয়রের পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) অরবিন্দ সাক্সেনা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নারওয়ার তহসিলের সুনারি চৌকির কাছে টুইন-সিটের মিরাজ ২০০০ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। গোয়ালিয়রের মহারাজপুরা বিমানঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।’
তিনি আরও জানান, বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে পাইলটদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর কাছে বর্তমানে প্রায় ৫০টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান রয়েছে। এই বিমানগুলোকে ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য যুদ্ধবিমান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মোহাম্মদের সন্ত্রাসী শিবিরে ভারতের বিমান হামলায় মিরাজ ২০০০ বিমান ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই হামলার প্রেক্ষাপট ছিল ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলা, যাতে ৪০ জন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) সদস্য নিহত হন।
ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গত ডিসেম্বরে লোকসভায় পেশ করা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দেশটিতে ৩৪টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এসব দুর্ঘটনা সত্ত্বেও মিরাজ ২০০০ বিমান ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে রয়ে গেছে। তবে এবারের ঘটনায় আবারও প্রশ্ন উঠেছে বিমানগুলোর নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে।