তিনি জানান, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী কিছু স্থলবন্দর প্রাইভেট সেক্টরের কাছে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে পরিচালনা দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত হয়। অলাভজনক স্থলবন্দরগুলো থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না বলে সেগুলো চালু রাখার যৌক্তিকতা নেই। তবে উন্নয়নশীল স্থলবন্দরগুলোতে ধাপে ধাপে সমস্যা সমাধান, অবকাঠামো আধুনিকায়ন, রাস্তা-ঘাট সংস্কার এবং প্রয়োজনীয় সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।

হিলি স্থলবন্দর সভাকক্ষে আয়োজিত বৈঠকে কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা রাস্তা-ঘাট সংস্কার, ওয়্যারহাউজের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অন্যান্য অবকাঠামোগত সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তারা দ্রুত এসব সমস্যার সমাধানের অনুরোধ জানান। ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, বন্দর এলাকায় উন্নত অবকাঠামো গড়ে উঠলে বাণিজ্য কার্যক্রম আরও গতি পাবে এবং সীমান্ত বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

উপদেষ্টা হিলি স্থলবন্দর ও কাস্টমস বিভাগের বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, রংপুর কাস্টমসের বিভাগীয় কমিশনার অরুন কুমার বিশ্বাস, হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার এ এস এম আকরামসহ আরও অনেকে।

সরকারের এই পদক্ষেপে রাজস্ব ঘাটতি পূরণ এবং স্থলবন্দর ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, বন্দর বন্ধের সিদ্ধান্তে কিছু এলাকায় বাণিজ্য সংকুচিত হতে পারে, যা বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।