ত্বকে দাগ, বয়সের ছাপ, রুক্ষতা-হলুদেই কি শেষ কথা? জানুন এখনই!

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
হলুদ (Curcuma longa) শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে প্রাকৃতিক ঔষধ ও সৌন্দর্যচর্চার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বর্তমান বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রমাণ করেছে, হলুদে থাকা কুরকুমিন (Curcumin) নামক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের জন্য নানা উপকার এনে থাকে।
কুরকুমিনের ভূমিকা-
কুরকুমিন হলুদে থাকা প্রধান বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ, যা শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
এটি ত্বকের কোষগুলোকে ফ্রি র্যাডিক্যাল নামক ক্ষতিকর অক্সিজেন যৌগ থেকে রক্ষা করে, যা ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দেয় এবং বিভিন্ন ত্বক রোগের কারণ হতে পারে।
প্রদাহবিরোধী প্রভাব-
কুরকুমিনের শক্তিশালী প্রদাহবিরোধী (anti-inflammatory) গুণ ত্বকের লালচে ভাব, ফুসকুড়ি ও একজিমার মত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
বার্ধক্যরোধী কার্যকারিতা-
⇨ হলুদ ত্বকের কোষ পুনর্জীবিত করতে সাহায্য করে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, যা ত্বককে দৃঢ় ও তরুণ রাখে।
⇨ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে এটি সূর্যের ক্ষতিকর আলোর (UV) কারণে সৃষ্ট ত্বকের ক্ষতি কমায়।
⇨ হলুদ নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালচে ভাব কমে এবং মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বক তৈরি হয়।
⇨ প্রদাহ ও ব্যাকটেরিয়া রোধে হলুদ কার্যকর, যা ব্রণ ও ফুসকুড়ি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, কুরকুমিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ বা ত্বকে প্রয়োগে প্রদাহজনিত ত্বক সমস্যা কমে।
বিশেষ করে অ্যাকনে, একজিমা ও সোরিয়াসিস রোগের চিকিৎসায় এটি সহায়ক বলে জানা যায়। সূর্যালোক থেকে ত্বক রক্ষায় কুরকুমিনের সুরক্ষা গুণও উল্লেখযোগ্য।
ব্যবহার:
☞ হলুদ, মধু ও দুধ মিশিয়ে স্কিন মাস্ক তৈরি করলে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হয়।
☞ হলুদের গুঁড়ো ও বেসন দিয়ে তৈরি প্যাক ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে সাহায্য করে।
সতর্কতা:
⇨ অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বকে হলুদ ধবংস হতে পারে বা সংবেদনশীল ত্বকে র্যাশ হতে পারে।
⇨ নতুন কোনো প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট করা বাঞ্ছনীয়।
হলুদ একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান, যা নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তবে পরিমিত ও সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।