ড্রাই ফ্রুট খাওয়ার আগে জেনে নিন এই জরুরি বিষয়গুলো!

ড্রাই ফ্রুট খাওয়ার আগে জেনে নিন এই জরুরি বিষয়গুলো!
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

ফল শুকিয়ে সংরক্ষণ বা ড্রায়িং একটি প্রাচীন ও বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি, যার মাধ্যমে ফল দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়। শুকনো ফল যেমন কিশমিশ, খেজুর, আখরোট, পেঁপে চিপস ইত্যাদি বাজারে সহজলভ্য এবং পুষ্টি উপাদানে ভরপুর হলেও এর কিছু বিশেষ দিক স্বাস্থ্যগত দিক থেকে জানা জরুরি।

ফল শুকানোর পদ্ধতি :

ফল শুকানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ফলের পানির পরিমাণ কমিয়ে তার অঙ্গসত্তা ধরে রাখা ও সংরক্ষণের মেয়াদ বৃদ্ধি করা।
 

প্রধান পদ্ধতিসমূহ:

☞ সূর্যালোক শুকানো

☞ তাপশুকানো (ওভেনে শুকানো)

☞ ফ্লাশ ড্রায়িং বা ফ্রিজারে শুকানো
 

এই পদ্ধতিগুলো ফলের আর্দ্রতা ১৫%-এর নিচে নামিয়ে দেয়, যা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বৃদ্ধি রোধ করে।

পানির পরিমাণ কমার কারণে শুকনো ফলের মধ্যে শর্করা (শুকরোজ, ফ্রুকটোজ), ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেলগুলো ঘনীভূত হয়।

তাই শুকনো ফল সাধারণত কাঁচা ফলের তুলনায় ক্যালোরি ও সুগারের ঘনত্ব বেশি থাকে।
 

গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান

☞ফাইবার: পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়।

☞ ভিটামিন: শুকনো ফলের ভিটামিন সি কিছুটা কমে যেতে পারে, তবে ভিটামিন এ, কে ও বি কমপ্লেক্স থাকে।

☞ মিনারেল: আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম বেশি পাওয়া যায়।

☞ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: কিছু শুকনো ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোষ রক্ষায় সাহায্য করে।
 

স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা

⇨ সুগারের মাত্রা

শুকনো ফলের প্রাকৃতিক চিনি বেশি হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীদের সাবধানতা জরুরি।
অতিরিক্ত গ্রহণ শর্করা বৃদ্ধি ও ওজন বাড়াতে পারে।


⇨ সংরক্ষণ পদ্ধতির ঝুঁকি

সালফার ডাইঅক্সাইড (Sulphur dioxide) নামক সংরক্ষণকারী রাসায়নিক শুকনো ফলের রঙ ঠিক রাখতে ব্যবহৃত হয়, যা কিছু ক্ষেত্রে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শুকানো হলে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে।
 

⇨ অ্যালার্জি ও পেটের সমস্যা

কিছু ক্ষেত্রে শুকনো ফল বেশি খেলে পেট ফাঁপা, অ্যালার্জি বা ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে।
 

নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর শুকনো ফল বাছাই ও সংরক্ষণ

⇨ রঙ ও গন্ধে সতর্কতা: কৃত্রিম রঙ বা দুর্গন্ধযুক্ত শুকনো ফল এড়াতে হবে।

⇨ প্যাকেজিং: হাওয়া চলাচল কম এমন প্যাকেট বেছে নিতে হবে।

⇨ সংরক্ষণ: ঠান্ডা ও শুকনো স্থানে রাখা ভালো।

⇨ পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ: দৈনিক ২০-৩০ গ্রাম শুকনো ফল খাওয়া সুপারিশ।
 

শুকনো ফলের সুবিধা

⇨ সহজে বহনযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী।

⇨ দ্রুত শক্তি যোগায়।

⇨ শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য পুষ্টি সম্পূরক হিসেবে কার্যকর।
 

শুকনো ফল স্বাস্থ্যকর একটি খাদ্য, যদি তা সঠিক পদ্ধতিতে তৈরি ও সংরক্ষণ করা হয় এবং পরিমিতভাবে খাওয়া হয়। তবে পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এর অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই উত্তম।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ