শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থী খাতা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন। গত ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হয়। প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা ফি দিয়ে এবার ৯২ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতার পুনঃমূল্যায়নের আবেদন করেছেন। গত বছরের তুলনায় আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২১ হাজার এবং চ্যালেঞ্জ হওয়া খাতার সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪০ হাজার।

সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে গণিত বিষয়ে—৪২ হাজার ৯৩৬টি খাতা। এরপর ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৯ হাজার ৬৮৮টি করে, পদার্থবিজ্ঞানে ১৬ হাজার ২৩৩টি, এবং বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৩ হাজার ৫৫৮টি খাতার জন্য আবেদন জমা পড়ে। অন্যদিকে, চারু ও কারুকলা বিষয়ে আবেদন এসেছে মাত্র ৬টি, যা সবচেয়ে কম।

বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুনঃনিরীক্ষণ প্রক্রিয়ায় খাতা নতুন করে মূল্যায়ন করা হয় না। বরং পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর সঠিকভাবে যোগ হয়েছে কিনা, কোনো প্রশ্নের নম্বর বাদ পড়েছে কিনা, কিংবা ওএমআর শিটে নম্বর সঠিকভাবে স্থানান্তরিত হয়েছে কি না—এসব যাচাই করা হয়। ত্রুটি পাওয়া গেলে সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়।

এদিকে, শিক্ষা বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সারাদেশে মোট ৬ লাখ ৬৬০ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র তিন লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন এবং ছাত্রী দুই লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন। পুনঃনিরীক্ষণের ফলের মাধ্যমে কিছু শিক্ষার্থীর ফলাফল পরিবর্তন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

আজকের ফল প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা তাদের নতুন ফলাফল অনলাইনে যাচাই করতে পারবেন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধিত সনদ পাবেন।