সকাল থেকে মোজাম্মেল বাবুকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বনানী থানার উপপরিদর্শক রাজিউল আমিন গ্রেপ্তার আবেদন করেন। প্রায় ১১টা ৪০ মিনিটে তাকে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতে শুনানি শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন আদালতে বলেন, সেনা সমর্থিত সরকারের সময় মোজাম্মেল বাবুর নেতৃত্বে বৈশাখী টিভির কার্যালয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। অভিযুক্তরা নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে গেছেন। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার দেখানো হলে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আদালত আবেদন মঞ্জুর করে মোজাম্মেল বাবুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর পুলিশ প্রহরায় তাকে আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সেদিন থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

মোঝাম্মেল বাবুর বিরুদ্ধে ১১ জানুয়ারি বৈশাখী মিডিয়া লিমিটেডের চৌধুরী মো. হুমায়ুন কবির বনানী থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ সেনা সমর্থিত সরকারের সময় মোজাম্মেল বাবু ও তার সহযোগীরা বৈশাখী টিভির অফিসে গিয়ে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং শেয়ার হোল্ডার করতে চাপ প্রয়োগ করেন। পরে তারা তিন লাখ টাকার শেয়ারের ফরমে স্বাক্ষর গ্রহণ করেন এবং আলমারিতে রাখা সাড়ে চার লাখ টাকা তুলে নিয়ে যান।