রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বিচারক হিসেবে দুর্নীতি, বিদ্বেষমূলক বেআইনি রায় প্রদান এবং জাল রায় তৈরির অভিযোগে দায়ের হওয়া শাহবাগ থানার মামলায় রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (১০ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষে আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষে মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন তা বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে গত ৩০ জুলাই আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম। অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ১০ মে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের সংক্ষিপ্ত আদেশ পরিবর্তন করে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বেআইনিভাবে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন খায়রুল হক। তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য অবসর-পরবর্তী ভালো পদায়নের লোভে এই জালিয়াতি করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপি সরকারের সময়ে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। ২০০৪ সালে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বহাল রাখার রায় দেয়। কিন্তু আপিল বিভাগ ২০১১ সালে প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে এ ব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন। প্রকাশ্য ঘোষণায় দুই মেয়াদ তত্ত্বাবধায়ক রাখার সুযোগ থাকলেও পূর্ণাঙ্গ রায়ে তা বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, ২৪ জুলাই সকালে ধানমণ্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সেদিনই যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার একই ধরনের মামলায় তাকে ভার্চুয়ালি গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।