তুরস্কে ৬.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১ জনের মৃত্যু, আহত ২৯

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
তুরস্কে ৬.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যার কেন্দ্রস্থল ছিল উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বালিকেসির প্রদেশের সিন্দিরগি শহর। রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্প ইস্তাম্বুলসহ আশপাশের এলাকায় অনুভূত হয়। এতে অন্তত একজন নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন। ধসে পড়েছে কমপক্ষে ১৬টি ভবন।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানান, ধ্বংসস্তূপ থেকে ৮১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও পরে তিনি মারা যান। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল সিন্দিরগি শহরেই। উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হয়েছে এবং নতুন করে বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বহু বহুতল ভবন সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের বিশাল স্তূপ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ ও সহায়তা কার্যক্রম চলছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং কিছুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বড় শহরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এক বিবৃতিতে নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। তিনি উদ্ধার তৎপরতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে উল্লেখ করেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছেন, “আল্লাহ আমাদের দেশকে সব ধরনের দুর্যোগ থেকে রক্ষা করুন।”
ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে তুরস্ক তিনটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ৫০ হাজারের বেশি এবং পার্শ্ববর্তী সিরিয়ায় আরও ৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের দুই বছরেরও বেশি সময় পরও বাস্তুচ্যুত কয়েক লাখ মানুষ ঘরে ফিরতে পারেননি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে তুরস্কে ভবন নির্মাণ কোড আরও কঠোরভাবে প্রয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও জরুরি সহায়তা নিশ্চিতের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বর্তমান ভূমিকম্প তুলনামূলক কম মাত্রার হলেও ধ্বংসের চিত্র ও ক্ষতির পরিমাণ তুরস্কের ভূমিকম্প-ঝুঁকির বাস্তবতা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।