সকালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের উদ্দেশে পদযাত্রার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু আগেই পুলিশ পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলে এবং ব্যাপক নিরাপত্তা মোতায়েন করে। কিছু বিক্ষোভকারী ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়, যখন তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং রাহুল গান্ধী তাকে সাহায্য করেন।

বিরোধীদের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় হেরফের ও কারচুপির মাধ্যমে বিজেপিকে জেতাতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের নির্বাচনে অস্বাভাবিকভাবে নতুন ভোটার যুক্ত হওয়ার বিষয়টিকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছে তারা। রাহুল গান্ধী সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বৈঠকে পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনায় ভোটার তালিকার জালিয়াতির অভিযোগের প্রমাণ দেখান এবং খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবি জানান।

বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে বিরোধীদের ক্ষোভ আরও বাড়ে, যখন নির্বাচন কমিশন বিহারের ভোটার তালিকায় ‘বিশেষ নিবিড় সংশোধন’ প্রক্রিয়া চালু করে। বিরোধীদের দাবি, এই পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিরোধী ভোটব্যাংক বাদ দেওয়ার কৌশল। এছাড়া ভোটার পুনর্যাচাইয়ের জন্য আধার ও অন্যান্য সরকারি আইডি বাতিল করায় বিতর্ক বাড়ে।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হলে আদালত প্রক্রিয়া চালু রাখতে অনুমতি দেয়, তবে প্রকৃত ভোটার বাদ না দেওয়ার নির্দেশ দেয় এবং আপিলের যথেষ্ট সময় দেওয়ার পরামর্শ দেয়।

নির্বাচন কমিশন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, পুরো প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কমিশন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে রাহুল গান্ধীকে প্রমাণসহ সই করা হলফনামা জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।