পুলিশের নির্যাতনে জনি হত্যা মামলায় দুই পুলিশের যাবজ্জীবন সাজা বহাল

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
রাজধানীর পল্লবীতে পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের ফলে গাড়িচালক ইশতিয়াক হোসেন জনির মৃত্যু মামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। পল্লবী থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুর রহমান ও পলাতক এএসআই কামরুজ্জামানের যাবজ্জীবন সাজা অপরিবর্তিত রাখার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। অপরদিকে, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাশেদুল হাসানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ১০ বছরের কারাদণ্ডে রূপান্তর এবং রাসেল নামে এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার মূল আসামিদের মধ্যে কামরুজ্জামান পলাতক আছেন, আর অন্য একজন সুমন সাজাভোগ করেছেন। ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পল্লবী থানার পুলিশ সোর্স সুমনের ফোন কলের মাধ্যমে ইশতিয়াক হোসেন জনি ও তার ভাই ইমতিয়াজকে থানায় ধরে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের কারণে জনির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনা ও আলোচনার সৃষ্টি হয়।
মূলত ২০১৪ সালের এই হত্যা মামলায় প্রথমে পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন ও দুইজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। পরে আসামিরা আপিল করেন। ২০২৫ সালের ৭ আগস্ট হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে ১১ আগস্ট রায় ঘোষণা করা হয়। জনির পরিবার রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং তারা রায়ের বিরুদ্ধে পুনরায় আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।
এই ঘটনা পুলিশের স্বজনপ্রীতি ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে নতুন করে প্রশ্ন তোলার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া এটি পুলিশি নির্যাতন ও মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থার গুরুত্বও দিয়েছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।