প্রথম নোট বিনিময় হয় উচ্চশিক্ষা খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়ে, যা বিনিময় করেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উতামা হাজি মোহাম্মদ বিন হাজি হাসান এবং বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। দ্বিতীয় নোট বিনিময় হয় কূটনীতিকদের প্রশিক্ষণ-সংক্রান্ত, বিনিময় করেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তৃতীয় নোটটি হালাল ইকোসিস্টেম খাতে সহযোগিতার বিষয়ে, যা বিনিময় করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের উপমন্ত্রী সিনেটর ড. জুলকিফলি বিন হাসান এবং বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

পাঁচটি সমঝোতা স্মারকের মধ্যে প্রথমটি ছিল প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত, যেখানে স্বাক্ষর করেন মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ খালেদ বিন নর্দিন এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। দ্বিতীয় এমওইউ হয় এলএনজি সরবরাহ ও অবকাঠামো, পেট্রোলিয়াম পণ্য এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়ে, স্বাক্ষর করেন মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী আমির হামজা বিন আজিজান এবং বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা এম ফৌজুল কবির খান।

তৃতীয় এমওইউ হয় আইএসআইএস মালয়েশিয়া ও বিআইআইএসএস বাংলাদেশের মধ্যে কৌশলগত গবেষণা ও সহযোগিতা বিষয়ে। চতুর্থ এমওইউ স্বাক্ষর হয় মালয়েশিয়ার চিপ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মিমোস এবং বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) মধ্যে। পঞ্চম এমওইউ হয় মালয়েশিয়ার এনসিসিআইএম এবং বাংলাদেশের এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বিষয়ে।

উভয় দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এসব চুক্তি বাস্তবায়ন হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হবে এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।