তিন দিনের সফরে ঢাকায় ইউরোপীয় প্রতিনিধিদল ও ব্যবসায়ী

তিন দিনের সফরে ঢাকায় ইউরোপীয় প্রতিনিধিদল ও ব্যবসায়ী
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের নতুন মাত্রা যুক্ত করতে তিন দিনের সফরে আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকায় পৌঁছাচ্ছে ইউরোপের উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল। সফরের আয়োজন করেছে ফ্রিডরিখ নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডমের (এফএনএফ) দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন জার্মান পার্লামেন্টের (বুন্দেসতাগ) সদস্য সান্দ্রা ওয়েজার, বুন্দেসতাগ প্রতিরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মার্কুস ফাবার এবং লিবারেল ইন্টারন্যাশনালের ডয়চে গ্রুপের সভাপতি জুর্গেন মার্টেন্স। তাদের সঙ্গে থাকবেন জার্মানির শীর্ষ ব্যবসায়ী ও নীতি-নির্ধারকগণ।

এফএনএফ দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক কার্স্টেন ক্লেইন জানিয়েছেন, দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল এই অঞ্চলের সঙ্গে ইউরোপ, বিশেষ করে জার্মানির সম্পর্ক আরও গভীর করাই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য। এর মাধ্যমে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও শেখার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিন দিনের এ সফরে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করবে। এছাড়া নেটজ বাংলাদেশ, গ্যেটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, বিমসটেক সচিবালয় এবং বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিজিসিসিআই)-এর সঙ্গে আলোচনা করবে। এসব বৈঠকে বাণিজ্য, প্রযুক্তি, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও আঞ্চলিক সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

রাজনীতি ও কূটনীতির বাইরে সফরসূচিতে রয়েছে সাভারের একটি তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শন। সেখানে শ্রম অধিকার, শিল্প সরবরাহ শৃঙ্খল এবং দক্ষ শ্রমিক অভিবাসনের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি ধারণা নেবেন তারা। এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশি গার্মেন্ট শিল্পের অগ্রগতি, শ্রম পরিবেশ এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতার বিষয়ে সরাসরি অবগত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

সফরের শেষ দিন আঞ্চলিক নিরাপত্তা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নীতি সংস্কার বিষয়ে খ্যাতনামা অর্থনৈতিক ও গণমাধ্যম বিশ্লেষকদের সঙ্গে মুক্ত সংলাপে অংশ নেবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এই আলোচনায় দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতান্ত্রিক চর্চা এবং তথ্যপ্রবাহের স্বাধীনতা নিয়ে মতবিনিময় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই সফরকে বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপের বিশেষ করে জার্মানির কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর ফলশ্রুতিতে বাণিজ্যিক বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ