দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে হত্যার হুমকি, নেপথ্যে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নাকি অন্য কিছু?

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) ও মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক—সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ও লেকচারার আসিফ মাহতাব উৎস—কে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ‘অ্যান্টার্কটিকা চৌধুরী’ নামে পরিচিত একটি ফেসবুক আইডি থেকে এ হুমকি প্রদান করা হয়।
ফেসবুক পোস্টে ড. সরোয়ার হোসেনের কার্টুনসহ লেখা ছিল, ‘কিল পাবলিক ফিগারস হু আর গেস্ট ইউর লিগ্যাল রাইটস’। ওই কার্টুনের পাশে চাপাতির ছবি ছিল। অন্যদিকে আসিফ মাহতাব উৎসের মুখাবয়বের একটি স্কেচে লেখা ছিল, ‘প্লে ফুটবল উইথ দ্য সার্ভড হেড অফ পাবলিক ফিগারস। হু আর এগেইস্ট ইউর লিগ্যাল রাইটস’। এতে তাকে লাথি মারার মতো ছবি ফুটে উঠেছে।
ড. মোহাম্মদ সরোয়ার দীর্ঘদিন ধরে দেশের জনস্বাস্থ্য, বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া, ডেঙ্গু ও শিশুদের স্থূলতা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন। তিনি আইইউবির স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ও অস্ট্রেলিয়ার ওলংগং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন।
আসিফ মাহতাব উৎস একজন পাবলিক স্পিকার ও শিক্ষক, যিনি ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সমসাময়িক বিষয়ে মত প্রকাশ করেন। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনের পক্ষে তার অবস্থান জাতীয় আলোচনায় এসেছে। তিনি ব্রিটিশ আমেরিকান রিসোর্স সেন্টার, মাস্টারমাইন্ড স্কুল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করছেন।
২০২৩ সালে ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ক একটি পাঠ্যপুস্তক নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন আসিফ। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় তাকে শিক্ষাদান থেকে বিরত রাখে।
ড. সরোয়ার হোসেন হুমকির বিষয়টি মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে বলেছেন, “হুমকি দাতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।” আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি তদন্ত করছে এবং সাইবার ইউনিটের মাধ্যমে হুমকিদাতার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।