তিন মাসের জন্য মার্কিন পণ্যে ২৪% শুল্ক প্রত্যাহার করল চীন

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান শুল্ক বিরতির মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়িয়েছে চীন। এর অংশ হিসেবে ওয়াশিংটনের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত ২৪ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে দেশটি। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে চীনের কাস্টমস ট্যারিফ কমিশন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আজ (১২ আগস্ট) থেকে কার্যকর হওয়া এই শুল্ক ছাড় আগামী ৯০ দিন বলবৎ থাকবে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত এপ্রিল মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। এতে যুক্তরাষ্ট্র–চীন বাণিজ্য উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করে, কারণ চীনের ওপরই ছিল সর্বোচ্চ শুল্কের বোঝা। প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে বেইজিংও মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করে। একপর্যায়ে ওয়াশিংটন চীনা পণ্যে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক বসালে, চীনও মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে।
বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনে গত মে মাসে দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে তিন মাসের জন্য শুল্ক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়। এই সমঝোতা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যে ৩০ শতাংশ এবং চীনে মার্কিন পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল থাকে। প্রথম মেয়াদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আজ (১২ আগস্ট)।
তবে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই চীন নতুন করে আরও তিন মাসের জন্য শুল্ক বিরতির মেয়াদ বাড়িয়েছে। এর ফলে স্থগিত থাকা ১২৫ শতাংশ শুল্কের মধ্যে ২৪ শতাংশ ছাড় কার্যকর হয়েছে। গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের চাপ কিছুটা কমাবে। পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য আরও বিস্তৃত চুক্তি প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এই শুল্ক বিরতি বৈশ্বিক বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দ্বন্দ্ব আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওপর দীর্ঘদিন ধরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। নতুন এই ছাড় এবং সময়সীমা বৃদ্ধি সাময়িক স্বস্তি আনলেও, বাণিজ্য নীতিতে দীর্ঘমেয়াদি সমন্বয় ছাড়া সমস্যার স্থায়ী সমাধান মিলবে না বলে সতর্ক করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।