উদ্ভাবনী তরুণদের মিলনমেলায় 'বিডিএ্যাপস ইনোভেশন সামিট ২০২৫' সম্পন্ন

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রবি আজিয়াটা পিএলসি আয়োজিত বিডিএ্যাপস ইনোভেশন সামিট ২০২৫। স্থানীয় উদ্ভাবন ও ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ডেভেলপাররা অংশ নেন। তাদের সৃষ্টিশীল অ্যাপ আইডিয়া প্রদর্শনের সুযোগ পান দেশের বৃহত্তম স্থানীয় অ্যাপ স্টোর বিডিএ্যাপসে। এবারের শীর্ষ ১০ ফাইনালিস্ট দলের মধ্যে ছিল- ড. চাষি (Dr.Chashi), চিঠি (Chithi.Me), নার্ডব্রো (NerdBro), প’বাডি (PawBuddy), শুটারএক্স (ShooterX), বার্তা (Barta), শিখি এআই (Shikhi AI), ডায়েটকোচ (DietKoach), লিফমেড (LeafMed) ও এসআইটি (AceIT)।
রাজধানীর এক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত গালা সমাপনী অনুষ্ঠানে শীর্ষ ১০ দলের চূড়ান্ত উপস্থাপনা হয়। বিচারক ও শিল্পখাতের নেতৃবৃন্দের সামনে তারা তাদের উদ্ভাবনী অ্যাপ ধারণা তুলে ধরেন। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে ড. চাষি, দ্বিতীয় স্থান পায় চিঠি ডট মি, এবং তৃতীয় হয় শুটারএক্স। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বাৰী, বিটিআরসি ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু বকর সিদ্দিক, রবি’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম. রিয়াজ রশীদ এবং প্রধান বাণিজ্য কর্মকর্তা (সিসিও) সিহাব আহমেদ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বাৰী বলেন, “ডিজিটাল জীবনযাত্রা প্রতিদিন পরিবর্তিত হচ্ছে। আমাদের নিজস্ব প্রয়োজন মেটাতে স্থানীয় অ্যাপ তৈরি করতে হবে। তরুণ ডেভেলপারদের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়ার জন্য রবিকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, তারা জাতীয় প্রযুক্তি উন্নয়নে অবদান রাখতে থাকবে।”
রবি’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম. রিয়াজ রশীদ বলেন, “ভবিষ্যতের বিশ্বে টিকে থাকতে প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। যত বেশি আমাদের তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তিকে গ্রহণ করবে এবং তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে, তত দ্রুত দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত হবে। এই সামিটের মাধ্যমে সারা দেশের প্রতিভাবান তরুণদের কার্যকর অ্যাপ তৈরি ও তা ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সবার অংশগ্রহণ সত্যিই উৎসাহব্যঞ্জক।”
২০২৫ সালের এ সামিট শুরু হয় মে মাসে, সারাদেশে আয়োজন করা হয় রোডশো। এতে কৃষি, ডিজিটাল শিক্ষা, গেমিং, প্রাণী কল্যাণসহ নানা খাত থেকে আসে ১,৩০০-রও বেশি অনলাইন প্রস্তাব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ফ্রিল্যান্সার ও সৃজনশীল উদ্ভাবকেরা এতে অংশ নেন। এগুলো থেকে বাছাই করা হয় ২৫টি আইডিয়া, যারা পিচিং রাউন্ডে অংশ নেয়। সেখান থেকে সেরা ১০টি দল চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে।
রবি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর হিসেবে নতুন ডিজিটাল অভিজ্ঞতা তৈরি করছে।দেশের শহর ও গ্রামে সমানভাবে প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে রবি টেলিকম অবকাঠামো উন্নয়নে ধারাবাহিক বিনিয়োগ করছে। উদ্ভাবনী ডিজিটাল পণ্য ও সেবা প্রদানের পাশাপাশি এই অবকাঠামো দেশের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।