বাংলাদেশের অর্থনীতিকে টেকসই এবং উচ্চস্তরে নিয়ে যেতে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোই একমাত্র পথ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য এর বিকল্প নেই।

আমির খসরু বলেন , নির্বাচনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের জন্য নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে আসা জাপানের একটি প্রতিনিধি দলের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের প্রমাণ।

খসরু সাহেব পরামর্শ দেন যে, বিনিয়োগকারীদের পণ্য ব্র্যান্ডিং, কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া এবং তাদের পণ্য বিশ্ববাজারে সরাসরি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা উচিত। দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিদেশি অংশীদারত্ব অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, সামাজিক খাত এবং অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি ব্যয় বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশি মূলধনের প্রবাহ অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করবে।

ব্র্যাকের এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ এবং নীতিনির্ধারকরা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএল জানিয়েছে, এই ধরনের আয়োজন বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের সামনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা তুলে ধরবে এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্ঠাতা ড. এম মাসরুর রিয়াজ। প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. সাইফউদ্দিন, কনটেক্সচুয়াল ইনভেস্টমেন্ট এলএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকাও হিরোসে এবং এশিয়া ফ্রন্টিয়ার ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের ফান্ড ম্যানেজার রুচির দেশাই।