লোভের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছেন? জেনে নিন মুক্তির বাস্তব ও কার্যকর উপায়!

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
লোভ এই শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে অতৃপ্তির এক চেহারা। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, লোভ শুধু সামাজিক সমস্যা নয়; এটা মানুষের নিউরোসাইকোলজিক্যাল বা স্নায়ুতাত্ত্বিক একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। তবে প্রশ্ন হলো এই লোভ কখন ইতিবাচক, আর কখন তা ধ্বংসের কারণ হয়ে ওঠে?
মস্তিষ্কের ভেতরে লোভের উৎপত্তি
মানুষ যখন কোনো পুরস্কার, অর্থ, বা কিছু পাওয়ার আশায় উত্তেজিত হয়—তখন মস্তিষ্কের "ভেন্ট্রাল স্ট্রায়াটাম" অংশে ডোপামিন নামক নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসৃত হয়। এই ডোপামিনই মূলত লোভের জ্বালানী। এটি আমাদের উৎসাহী করে, লক্ষ্যপানে দৌড়াতে শেখায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দ্রুত ফল পেতে চায়, তাদের মস্তিষ্কে ডোপামিনের মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি।
লোভ মানেই খারাপ নয়?
অবাক করার মতো বিষয় হলো, লোভ সবসময় নেতিবাচক নয়। উদ্যম, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, উন্নতির ইচ্ছা—সবই একধরনের 'নিয়ন্ত্রিত লোভ'। এই লোভই আমাদের এগিয়ে যেতে শেখায়। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় যখন লোভ হয়ে ওঠে অসীম, অন্ধকারমুখী এবং অনিয়ন্ত্রিত।
অতিরিক্ত লোভের কুফল
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়ন্ত্রণহীন লোভ মানসিক উদ্বেগ, হিংসা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এমনকি অপরাধপ্রবণতার জন্ম দেয়। 'লাভারস অফ লাক্সারি' দুনিয়ার ফাঁদে পড়ে কেউ কেউ ভুল পথে হাঁটে, হারিয়ে ফেলে নৈতিকতা।
লোভ নিয়ন্ত্রণের উপায় :
লোভ দমন নয়, বরং লোভকে সঠিক পথে পরিচালিত করাই হলো বুদ্ধিমানের কাজ। কিছু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত উপায় হলো—
◑ ধ্যান ও সচেতনতা চর্চা (Mindfulness): মস্তিষ্কের ইমপালস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
◑ বিকল্প চিন্তার অভ্যাস: "আমার দরকার কতটা?" নিজেকে প্রশ্ন করা।
◑ সামাজিক দায়বদ্ধতা: বেশি পাওয়ার প্রবণতা কমায় যখন মানুষ নিজের চেয়ে বড় কোনো লক্ষ্য বা গোষ্ঠীর অংশ হয়।
◑ ধন-সম্পদের সাময়িকতা বোঝা: গবেষণা বলছে, 'ধন' মস্তিষ্কে সাময়িক আনন্দ দেয়, দীর্ঘমেয়াদে নয়।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।