ট্রেড ইকোনোমিকসের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে প্রতি বুশেল সয়াবিনের বীজ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২২ ডলার ৭৫ সেন্টে। এক মাসের ব্যবধানে এই দামে প্রায় ১ শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। অপরদিকে, পাম তেলের বাজারেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে। মাস ব্যবধানে প্রায় ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রতি টন পাম তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭২ ডলার ১৬ সেন্টে। সূর্যমুখীর তেলের দামও উর্ধ্বমুখী। বর্তমানে প্রতি টন সূর্যমুখী তেল বিক্রি হচ্ছে ৮২ ডলারে। সপ্তাহ ব্যবধানে এতে ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং মাস ব্যবধানে ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।

তবে ক্যানোলা তেলের বাজার বিপরীত দিকে গিয়েছে। সর্বশেষ তথ্যমতে, মাস ব্যবধানে ক্যানোলার দাম ২ দশমিক ৩১ শতাংশ কমে বর্তমানে প্রতি টন বিক্রি হচ্ছে ৪৭৭ ডলার ৫৯ সেন্টে। বাজার পূর্বাভাস বলছে, ক্যানোলার এই নিম্নমুখী প্রবণতা কিছুটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দামের এই পরিবর্তনের পেছনে জ্বালানি তেলের বাজারের অবস্থাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম প্রায় ২ শতাংশ বেড়ে এক সপ্তাহের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর প্রধান দুটি কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের আগামী মাসে সুদের হার কমতে পারে এমন প্রত্যাশা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনাকে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৬৬ দশমিক ৮৪ ডলার এবং মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) বেড়ে লেনদেন শেষ করেছে ব্যারেলপ্রতি ৬৩ দশমিক ৯৬ ডলারে।

সব মিলিয়ে ভোজ্যতেলের বাজারে একদিকে সয়াবিন, পাম ও সূর্যমুখী তেলের দাম বেড়ে চাপ তৈরি করছে, অন্যদিকে ক্যানোলার পতন বাজারে কিছুটা ভারসাম্য আনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।