সিলেটের সাদা পাথর লুটে প্রশাসনের যোগসাজশের অভিযোগ

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুটে প্রশাসনের যোগসাজশ ছিল বলে অভিযোগ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, প্রশাসনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, সরকারের কাজ নীতিমালা প্রণয়ন করা এবং সেই নীতি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করা প্রশাসনের দায়িত্ব। “আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি কোন এলাকায় পাথর উত্তোলন করা যাবে না। কিন্তু মাঠ প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। বরং যোগসাজশ করেছে বা নিরব থেকেছে,” বলেন তিনি।
উপদেষ্টা আরও জানান, তিনি ও সহকর্মী উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান মাঠপর্যায়ে গিয়ে প্রশাসনকে সাহস জোগানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ফেরার পথে তাদের গাড়ি ঘিরে অশ্লীল বিক্ষোভ হয়। “এমন প্রতিবাদ না হলে আজকের পরিস্থিতি ভিন্ন হতো। জনগণের তীব্র প্রতিবাদের কারণেই লুটেরা চক্র পিছিয়ে গেছে,” বলেন রিজওয়ানা হাসান।
তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় স্বার্থান্বেষী মহল রাজনৈতিক চাপে প্রশাসনকে নিষ্ক্রিয় করে রেখেছিল। পাথর ভাঙার মেশিন বন্ধ করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার পরেও রাজনৈতিক দলগুলো একজোট হয়ে পাথর উত্তোলনের পক্ষে অবস্থান নেয়। পরিবহন মালিকরা ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছিল। “যদি তাদের জনগণের প্রতি সামান্য মায়া থাকত, তবে করোনার সময় ব্যবসায়িক স্বার্থে ধর্মঘট ডাকতে পারত না,” বলেন তিনি।
রিজওয়ানা হাসান স্পষ্ট করে জানান, পাথর লুটের দায় মন্ত্রণালয়ের নয়। তবে তিনি একজন পরিবেশকর্মী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। “লুটের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। কিন্তু কারা জড়িত এবং প্রকৃত অপরাধীদের তালিকাভুক্ত করা প্রশাসনের কাজ। সেটিই এখন দেখা হবে,” তিনি যোগ করেন।
তিনি বলেন, “মানুষ তার শক্তি দেখিয়েছে। লুটেরা চক্রের বিরুদ্ধে জনগণ দাঁড়ালে রাজনৈতিক শক্তি যতই সমর্থন দিক না কেন, শেষ পর্যন্ত জয় মানুষেরই হবে।”
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।