আগস্টের ১৬ দিনে এসেছে ১২৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
আগস্টের প্রথম ১৬ দিনে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের প্রবাহ আশাব্যঞ্জক ধারায় অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ১ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১২৬ কোটি মার্কিন ডলার (১.২৬ বিলিয়ন ডলার)। স্থানীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৫ হাজার ৪২০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে হিসাব)।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ প্রবাহ অব্যাহত থাকলে চলতি আগস্ট মাস শেষে মোট রেমিট্যান্স প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরবে এবং ডলারের জোগান পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের আগ্রহ বেড়েছে। হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের কঠোর নজরদারি, প্রণোদনা এবং ব্যাংকিং সেবার উন্নতিই এই ইতিবাচক প্রবাহের মূল কারণ। বিশেষ করে প্রযুক্তিনির্ভর সহজ লেনদেন ব্যবস্থা প্রবাসীদের কাছে ব্যাংকিং চ্যানেলকে আরও কার্যকর করে তুলেছে।
এর আগে জুলাই মাসে প্রবাসী আয় দাঁড়িয়েছিল ২৪৮ কোটি মার্কিন ডলারে, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। সদ্য সমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ওই অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। এটাই ছিল দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের অঙ্ক। ধারাবাহিক এ প্রবাহ দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে ডলারের সংকট মোকাবিলা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে প্রবাসী আয়ের ভূমিকা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রবাসী আয় শুধু ডলার জোগানেই নয়, গ্রামীণ অর্থনীতিতেও সরাসরি অবদান রাখছে। পরিবারে ব্যয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনিয়োগে রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত এই ইতিবাচক প্রবাহ ধরে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ চালিয়ে যাওয়া।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।