শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন পুলিশের সাবেক আইজিপি

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়। সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে তাকে কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে ট্রাইব্যুনাল-১ এ আনা হয়।
মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এদিন মামলার দশম সাক্ষী হিসেবে সাবেক আইজিপিকে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে এই মামলায় নয়জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাবেক আইজিপি মামুনের সাক্ষ্যগ্রহণকে এ মামলার অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজেই দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্য প্রকাশে আগ্রহী হন। তিনি অ্যাপ্রুভার বা রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন, যা ট্রাইব্যুনাল মঞ্জুর করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ইতিহাসে তিনি প্রথম আসামি, যিনি রাজসাক্ষী হিসেবে স্বীকৃতি পেলেন। আদালতের ভাষ্যমতে, এ ধরনের রাজসাক্ষ্য মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রমাণের ধারা ও সত্য উদঘাটনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দমনপীড়নের সময় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, গুম ও নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, সেই সময়ের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও সহায়তায় এসব ঘটনা সংঘটিত হয়।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বলছে, সাবেক আইজিপি মামুনের জবানবন্দি মামলার প্রধান আসামিদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজে লাগবে। আদালত তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করবে। এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, রাজসাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের ক্ষেত্রে আদালতকে সতর্কতার সঙ্গে আইনগত দিকগুলো বিবেচনা করতে হবে।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এ মামলাটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপনের বিষয়টি চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।