গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক সময় ও নিয়ম, যা অধিকাংশেরাই ভুল জানেন!!

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গ্রিন টি দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যাটেচিন (Catechins) ও এল-থিয়ানিন (L-theanine) উপাদান শরীরে টক্সিন কমায়, মেটাবলিজম বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। কিন্তু খালি পেটে গ্রিন টি পান করলে এর প্রভাব সবসময় ইতিবাচক নাও হতে পারে।
খালি পেটে গ্রিন টির সম্ভাব্য উপকার-
⇨ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শোষণ বৃদ্ধি: খালি পেটে শরীর তুলনামূলকভাবে দ্রুত পুষ্টি শোষণ করে, ফলে গ্রিন টির ক্যাটেচিন দ্রুত কার্যকর হতে পারে।
⇨ চর্বি পোড়ানো ত্বরান্বিত: সকালে গ্রিন টি মেটাবলিজম সক্রিয় করতে সহায়তা করতে পারে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
⇨ মনোযোগ ও সতর্কতা বৃদ্ধি: এতে থাকা এল-থিয়ানিন ও ক্যাফেইন একসঙ্গে মস্তিষ্কে ডোপামিন ও সেরোটোনিনের মাত্রা সামঞ্জস্য রাখে, ফলে মুড ও ফোকাস বাড়ে।
সম্ভাব্য ক্ষতি ও সতর্কতা:
⇨অম্লতা ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা: গ্রিন টির ক্যাটেচিন খালি পেটে পাকস্থলীতে অ্যাসিড উৎপাদন বাড়াতে পারে, যা হজমে অস্বস্তি, বুক জ্বালা বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
⇨ লো আয়রন শোষণ: গ্রিন টির ট্যানিন আয়রন শোষণে বাধা দিতে পারে। খালি পেটে ও পর্যাপ্ত খাবার ছাড়া এটি বেশি প্রভাব ফেলতে পারে।
⇨ ক্যাফেইনজনিত সমস্যা: খালি পেটে ক্যাফেইন সরাসরি শোষিত হওয়ায় মাথা ঘোরা, অস্থিরতা বা হার্টবিট বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
সঠিক পান করার সময় ও পরামর্শ:
নাস্তার অন্তত ৩০ মিনিট পর বা বিকেলে খাবারের ১–২ ঘণ্টা পরে গ্রিন টি পান করা ভালো। গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে খালি পেটে এড়িয়ে চলা উচিত। একদিনে ২–৩ কাপের বেশি না খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত গরম গ্রিন টি এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি গলা ও খাদ্যনালির ক্ষতি করতে পারে।
গ্রিন টি অবশ্যই উপকারী, তবে এর সঠিক সময় ও পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন না হলে উপকারের বদলে ক্ষতিও হতে পারে। বিশেষ করে খালি পেটে পান করার আগে শরীরের সহনশীলতা বোঝা জরুরি।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।