আপনি কি জোড় করে হাঁচি থামিয়ে রাখছেন? জানুন ভয়ংকর পরিণতি

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
হাঁচি শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা প্রক্রিয়া, যা নাক ও শ্বাসনালী থেকে জীবাণু, ধুলো বা অ্যালার্জেন বের করে দেয়। কিন্তু অনেকেই শিষ্টাচার বা অভ্যাসবশত হাঁচি চেপে রাখেন-মুখ ও নাক চেপে রেখে বাতাস বের হতে না দেওয়া। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, এই কাজটি শুধু অস্বস্তিকরই নয়, বরং মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
হাঁচির সময় বায়ু শ্বাসনালী থেকে প্রায় ১৬০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বের হয়। মুখ বা নাক চেপে দিলে এই প্রবল চাপ বাইরের দিকে না গিয়ে ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে। ফলস্বরূপ হঠাৎ করে মাথা, ঘাড়, কান ও চোখের ভেতরের চাপ (Intracranial এবং Intraocular pressure) অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জোর করে হাঁচি আটকে রাখলে হতে পারে-
⇨ রক্তনালী ফেটে যাওয়া: মাথা বা ঘাড়ের সূক্ষ্ম রক্তনালী ছিঁড়ে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হতে পারে।
⇨ কর্ণপটাহ (Eardrum) ফেটে যাওয়া: অতিরিক্ত চাপ কানের পর্দা ছিঁড়ে দিতে পারে, ফলে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
⇨ গলার টিস্যু ছিঁড়ে যাওয়া: খুব জোরে চাপ জমে গলার নরম টিস্যুতে ক্ষতি করতে পারে, যা শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বাড়ায়।
⇨ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ: চরম ক্ষেত্রে ব্রেনের ভেতর রক্তক্ষরণ হয়ে স্ট্রোক বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
চিকিৎসকের পরামর্শ
⇨ হাঁচি আটকানোর বদলে রুমাল বা টিস্যু দিয়ে মুখ-নাক ঢেকে হাঁচি দিন, যাতে জীবাণু ছড়িয়ে না পড়ে।
⇨ যদি হাঁচি বারবার হয়, তাহলে অ্যালার্জি বা সংক্রমণের চিকিৎসা নিন।
⇨কানে ব্যথা, মাথা ঘোরা বা হাঁচির পর অস্বাভাবিক চাপ অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
হাঁচি হলো শরীরের জন্য একপ্রকার "সেফটি ভালভ"। এটিকে জোর করে আটকে রাখার মানে হলো নিজের শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর করা, যা কখনও কখনও জীবনহানির কারণও হতে পারে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।