ফ্লোরিডায় প্রাণঘাতী 'মাংসখেকো' ব্যাকটেরিয়ার হানা-ঝুঁকিতে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দা ও ভ্রমণকারীরা

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় সম্প্রতি এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে Vibrio vulnificus নামের বিরল ও মারাত্মক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে, যা সাধারণভাবে 'মাংসখেকো' ব্যাকটেরিয়া নামে পরিচিত। রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (CDC) তথ্যমতে, এ ধরনের সংক্রমণ সাধারণত উষ্ণ ও নোনা পানিতে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়া থেকে হয়, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল এবং নদীর মোহনায়।
যেভাবে সংক্রমণ হয়: Vibrio vulnificus মূলত ক্ষতস্থানের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। সমুদ্রের উষ্ণ জলে সাঁতার কাটার সময় বা সামুদ্রিক খাবার, বিশেষ করে কাঁচা ঝিনুক (oyster) খাওয়ার মাধ্যমে এ ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে। সংক্রমণ হলে ব্যাকটেরিয়া টিস্যু ধ্বংস করে, ফলে ত্বক দ্রুত ক্ষয়ে যায়-যা 'মাংসখেকো' ব্যাকটেরিয়া নামে পরিচিতি দিয়েছে।
লক্ষণ : প্রাথমিকভাবে লালচে ফোলা, তীব্র ব্যথা ও জ্বর দেখা দেয়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে সেপসিস বা রক্তে সংক্রমণ ঘটাতে পারে, যা দ্রুত চিকিৎসা না পেলে প্রাণঘাতী হয়।
ঝুঁকিতে কারা!!
⇨ দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি
⇨ লিভারের রোগে আক্রান্তরা
⇨ ডায়াবেটিস রোগী
⇨ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে ভোগা মানুষ
⇨ বয়স্ক ও শিশু
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় Vibrio ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার বাড়ছে। ফলে আগের তুলনায় দীর্ঘ সময় ও বিস্তৃত এলাকায় এ ধরনের সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে।
সুরক্ষার উপায়:
⇨ খোলা ক্ষত বা কাটাছেঁড়াসহ নোনা বা আধা-নোনা পানিতে না নামা
⇨ সি-ফুড, বিশেষ করে ঝিনুক ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া
⇨ সাঁতার কাটার পর ত্বক ও ক্ষতস্থান ভালোভাবে পরিষ্কার করা
⇨ তীব্র ব্যথা, জ্বর বা ক্ষতস্থানে পরিবর্তন হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া
ফ্লোরিডার স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এ ধরনের সংক্রমণ বিরল হলেও, আক্রান্ত হলে মৃত্যুর হার ২০%–৩০% পর্যন্ত হতে পারে। তাই সতর্কতা ও দ্রুত চিকিৎসা-এ দুটি বিষয়ই জীবন বাঁচানোর মূল চাবিকাঠি।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।