সিটিডির জানায় এই অভিযানে তারা ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত্র ‘র’ পরিচালিত একটি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থলের সঙ্গে জড়িত।

পাকিস্তানের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আজাদ খান বলেন, গত ৮ জুলাই বাদিন এলাকায় নরসুন্দর আব্দুর রহমান হত্যার ঘটনায় এই ছয়জনকে আটক করা হয়। এদের জিজ্ঞাসাবাদে একটি বড় নেটওয়ার্কের সন্ধান পাওয়া যায়।

তিনি জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক র’ এর হ্যান্ডলার সঞ্জয় সঞ্জীব কুমার ওরফে ‘ফৌজি’ এই পুরো অপারেশন পরিচালনা করেছে। সে পাকিস্তানি নাগরিক সালমানের মাধ্যমে অর্থ পাঠায় এবং হায়দরাবাদে এসে আটককৃতদের সঙ্গে বৈঠক করে। পরে অভিযুক্তরা ১৮ মে মাটলিতে পাঁচদিন ধরে নজরদারি করে আব্দুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে।


আজাদ খান আরো বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ড প্রচার করা হয়েছে, যা র’ এর সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। তদন্তে ব্যাংক লেনদেন ও অর্থের উৎস থেকে সন্ত্রাসে অর্থায়নের প্রমাণও মিলেছে। এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আটককৃতরা হলো- আমির আসগর, সাজাদ, উবায়েদ, শাকিল, আরসালান এবং তালহা উমায়ের।
তাদের কাছ থেকে দুটি পিস্তল, মোবাইল ফোন এবং একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।


সিটিডি কর্মকর্তা আরো জানান, র পাকিস্তানের একটি নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করেছে। তিনি একে ‘রাষ্ট্র পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, পাকিস্তান এই ইস্যুটি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে উত্থাপন করবে।
গ্রেফতারের এই ধারা চলমান রাখার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, আটককৃতদের স্বীকারোক্তি, ভ্রমণ ইতিহাস, ব্যাংক লেনদেন এবং উদ্ধারকৃত তথ্য বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে আরও গ্রেফতার হতে পারে।