আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার এর তিন দিনের বাংলাদেশ সফর কেন্দ্রিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এর এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের সম্প্রতি চট্টগ্রাম সফরকালে কামাল খান এবং বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা বশিরউদ্দিনের মধ্যে ঢাকা-করাচি বাণিজ্যিক সংযোগে নতুন উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়।
তার একদিনের এ সফরে তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন, বাংলাদেশি জাহাজ ভাঙা শিল্প পরিদর্শন করেন এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এসময় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা সরাসরি ফ্লাইট ও শিপিং সেবা চালুর পাশাপাশি বাণিজ্যের ডিজিটালাইজেশনের প্রস্তাব দেন।

ব্যবসায়ীদের এই প্রস্তাবে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, শিগগিরই একটি যৌথ বাণিজ্য ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। এর মাধ্যমে বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনার জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি হবে।

দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর আলোচনায় খাদ্য ও কৃষিখাত, স্বাস্থ্য, চামড়া এবং অন্যান্য অপরিহার্য পণ্যের মতো খাতগুলোতে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের বড় সম্ভাবনার কথা উঠে আসে।
আগামী ২৫-২৭ নভেম্বর করাচিতে অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় আন্তর্জাতিক খাদ্য ও কৃষি মেলায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান পাক মন্ত্রী।

এছাড়াও, আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ায় পণ্য রপ্তানির জন্য ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা গড়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।


এই দিনে জাম কামাল এবং বশিরউদ্দিন চট্টগ্রামের কবির শিপ রিসাইক্লিং ফ্যাসিলিটি পরিদর্শন করেন। সেখানে বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথভাবে জাহাজ নির্মাণ, ভাঙা ও পুনর্ব্যবহার শিল্পে কাজ করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বন্দরের ইতিহাস, কার্যক্রম এবং চলমান বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা দেন।