ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি, কিন্তু যে শর্তে!

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ট্রাম্পের 'সর্বোচ্চ চাপ' নীতি অব্যাহত থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসা সম্ভব নয়। ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও, তেহরান চাপের মুখে কোনো ধরনের আত্মসমর্পণে রাজি নয়।
ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কৌশলের মূল হাতিয়ার হয়ে উঠেছে নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক। ইরানের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সম্প্রতি ট্রাম্প ইরানের তেল রপ্তানির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, যা তেহরানের অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করছে। তবে, ইরান এই চাপের মুখে নতি স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
শনিবার দ্য নিউইয়র্ক পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে রাজি হয়, তবে ইসরাইল তাদের ভূখণ্ডে হামলা চালাবে না। তবে, ইরান এই প্রস্তাবকে চাপের কৌশল হিসেবে দেখছে এবং তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেন, "আলোচনায় বসতে আমাদের আপত্তি নেই, তবে তা যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে নয়। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ছাড়া আলোচনার কোনো বিকল্প নেই। ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির মুখে আলোচনায় বসা আত্মসমর্পণের শামিল হবে।"
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির উদাহরণ টেনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ববর্তী চুক্তির অভিজ্ঞতা ইরানের জন্য শিক্ষণীয়। ২০১৫ সালে ইরান যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করেছিল, যা থেকে ট্রাম্প ২০১৮ সালে একতরফাভাবে সরে দাঁড়ান এবং ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন।
এ অবস্থায় ইরান স্পষ্ট করে দিয়েছে, ট্রাম্পের চাপের নীতি অব্যাহত থাকলে আলোচনায় বসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তেহরান চায় সম্মানজনক ও শর্তহীন আলোচনা, যা যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা চাপের মুখে সম্ভব নয়।