অস্কারের পথে বাংলাদেশের ‘আ থিং অ্যাবাউট কাশেম’

অস্কারের পথে বাংলাদেশের ‘আ থিং অ্যাবাউট কাশেম’
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

অস্কার কোয়ালিফাইং রোড আইল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অলটারনেটিভ স্পিরিট শাখায় গ্র্যান্ড প্রাইজ জিতেছে বিজন ইমতিয়াজ পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আ থিং অ্যাবাউট কাশেম’। এই আন্তর্জাতিক উৎসবে পুরস্কার অর্জন মানেই অস্কারের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণসাপেক্ষে বাংলাদেশি এই সিনেমাটি এখন অস্কারে জমা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে।

সিনেমার প্রযোজক আরিফুর রহমান বলেন, “অস্কার কোয়ালিফাইং উৎসবে অনেক সিনেমা জমা পড়ে, তবে সেখানে গ্র্যান্ড প্রাইজ পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বাংলাদেশি সিনেমার জন্য এর তাৎপর্য আরও বেশি।” তিনি আরও বলেন, “বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে শর্টফিল্ম পাঠানো এবং সেখানে লবিং করা, বিশেষ করে একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস বা অস্কারে জমা দেওয়ার জন্য এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে যে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয়, তা অনেক সময় সিনেমার বাজেটের চেয়েও বেশি হয়ে যায়। সে হিসাবে বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনভাবে তৈরি একটি সিনেমা যখন অস্কার কোয়ালিফাইং উৎসবে হাজার হাজার ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে সেরা পুরস্কার পায়, তখন সত্যিই মনে হয় আমরা অনেক কিছুই পেয়ে গেছি।” 

‘আ থিং অ্যাবাউট কাশেম’ নির্মিত হয়েছে গুপী বাঘা, লং স্টোরি এবং স্ক্রিনস্কোপ প্রোডাকশনের ব্যানারে। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইন্তেখাব দিনার। তিনি বলেন, “সব সময় ভালো গল্পে কাজ করার চেষ্টা করেছি। সেই ভাবনা থেকেই এই কাজটিতে যুক্ত হয়েছিলাম। সিনেমাটির এই আন্তর্জাতিক সম্মাননা আমাদের সবাইকে ভালো গল্পে কাজ করার আরও অনুপ্রেরণা দেবে।” এই চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করেছেন মৌটুসী বিশ্বাস, হাসনাত রিপন, কামরুজ্জামান তাপু, তনুশ্রী কারকুন প্রমুখ। ১৭ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন নুহাশ হুমায়ূন।

গল্পের মূল বিষয় মানুষের অন্তর্নিহিত ভিন্ন সত্তা। কাশেম যখন নিজের ভেতরের সেই ভিন্ন সত্তাকে আবিষ্কার করে, তখন তার জীবনে যে তোলপাড় অবস্থার সৃষ্টি হয় এবং সে কীভাবে সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করে–তা-ই ফুটে উঠেছে সিনেমায়। চিত্রনাট্য রচনায় নুহাশ হুমায়ূনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নির্মাতা বিজন ইমতিয়াজ নিজেও। প্রযোজনা করেছেন আরিফুর রহমান ও নুহাশ হুমায়ূন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত নির্মাতা বিজন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্র বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষকতাও করছেন।

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক উৎসবে দেশের সিনেমা পুরস্কার পেলে আনন্দটা অন্যরকম হয়। সত্যিই ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে, আমাদের সবার কঠোর পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।”

আপনার প্রতিক্রিয়া জানান

❤️
Love
0
(0.00 / 0 total)
👏
Clap
0
(0.00 / 0 total)
🙂
Smile
0
(0.00 / 0 total)
😞
Sad
0
(0.00 / 0 total)

মন্তব্যসমূহ

এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।


সম্পর্কিত নিউজ