জুমার খুতবার গুরুত্ব অপরিসীম, খুতবা ছাড়া জুমার নামাজ পূর্ণ নয়

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
জুমার খুতবার গুরুত্ব ইসলামে অপরিসীম। সহীহ হাদীসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, খুতবা ছাড়া জুমার নামাজ পূর্ণ হয় না। খুতবা মুসলমানদের আধ্যাত্মিক শক্তি, নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক ঐক্যের প্রতীক।
ইসলামে জুমার খুতবার গুরুত্ব অপরিসীম। খুতবা ছাড়া জুমার নামাজ পূর্ণ হয় না—এমন স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায় কোরআন ও সহীহ হাদীসে। আলেমরা বলেন, জুমার খুতবা শুধু আনুষ্ঠানিক বক্তব্য নয়, বরং মুসলমানদের সাপ্তাহিক দিকনির্দেশনা, আধ্যাত্মিক চেতনা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার অন্যতম মাধ্যম।
ইসলামী শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, জুমার খুতবা দুটি অংশে দেওয়া হয়। প্রথম অংশে আল্লাহর প্রশংসা, রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর ওপর দরুদ এবং তাকওয়ার নির্দেশনা থাকে। দ্বিতীয় অংশে মুসলমানদের কল্যাণ কামনা, দোয়া ও বিশেষ তাগিদ প্রদান করা হয়। খুতবার আগে বসা সুন্নাত এবং আজান শেষে খুতবা শুরু করা হয়। ধর্মীয় বিশেষজ্ঞরা বলেন, খুতবা চলাকালীন কোনো প্রকার কথা বলা, নড়াচড়া করা বা অন্যকে নীরব থাকতে বলা থেকেও বিরত থাকতে হবে।
সহীহ হাদীসে উল্লেখ আছে, যে মুসলমান খুতবা মনোযোগ সহকারে শোনে, তার জন্য এক জুমা থেকে অপর জুমা পর্যন্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং অতিরিক্ত তিন দিনের সওয়াবও অর্জিত হয়। ইসলামী চিন্তাবিদরা মনে করেন, খুতবার মাধ্যমে শুধু ইবাদত নয়, বরং সমাজে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় হয়। সাপ্তাহিক এই সমাবেশ মুসলমানদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং নৈতিক চেতনা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
ধর্মীয় বক্তারা বলেন, খুতবা হলো ইসলামের দিকনির্দেশনা পৌঁছে দেওয়ার সাপ্তাহিক মাধ্যম। তাই ইমামদের উচিত খুতবায় আল্লাহর স্মরণ, নৈতিক শিক্ষা, সামাজিক দায়িত্ব এবং মুসলমানদের কল্যাণকর উপদেশ প্রদান করা। অন্যদিকে মুমিনদের দায়িত্ব হলো খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং এর আলোকে জীবন পরিচালনার চেষ্টা করা।
ইসলামী গবেষকরা মনে করেন, জুমার খুতবা কেবল ইবাদতের একটি শর্ত নয়, বরং তা মুসলমানদের ঐক্য, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির প্রতীক। তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত খুতবাকে যথাযথ গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করা।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।