নভেম্বরেই খাদ্য তহবিল শেষ, এরপর কি উপায় হবে রোহিঙ্গাদের?

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
নভেম্বরেই রোহিঙ্গাদের জন্য ডব্লিউএফপির খাদ্য তহবিল শেষ হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য জরুরি আন্তর্জাতিক সমর্থনের প্রয়োজন। দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর পদক্ষেপ রোহিঙ্গাদের মানবিক পরিস্থিতি রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) উপপরিচালক ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) কার্ল স্কাউ সতর্ক করেছেন, নভেম্বরের মধ্যেই রোহিঙ্গাদের জন্য সংস্থার তহবিল শেষ হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। স্কাউ উল্লেখ করেন, রাখাইন ফিরে যাওয়ার কোনো নিরাপদ পথ নেই, কাজের সুযোগ নেই এবং স্থানীয় সমাজে মেশার সুযোগও নেই। ফলে তারা সম্পূর্ণরূপে আন্তর্জাতিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল।
বাংলাদেশ সফরের সময় স্কাউ বাংলাদেশের মানুষের উদারতা ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহযোগিতার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিকেও উপকার হচ্ছে। তবে, নভেম্বরের পর তহবিল ফুরিয়ে যাওয়ায় কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ সংরক্ষিত নেই। তিনি বাংলাদেশের সরকার, অংশীদার ও দাতাদের সঙ্গে বৈঠক করে তহবিল সংকট মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহের উপায় নিয়ে আলোচনা করছেন।
স্কাউ বলেন, এ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য প্রাপ্ত মোট সহায়তার প্রায় ৬০ শতাংশ এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, এবং অন্যান্য দেশকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এছাড়া, আঞ্চলিক ও ওআইসি দেশগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ চলছে। সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, আগামী ছয় মাসে জরুরি ভিত্তিতে ৬০ মিলিয়ন ডলার, এবং এক বছরের মধ্যে মোট ১৬৭ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
ডব্লিউএফপি কার্যক্রমে কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে স্থানীয় সম্প্রদায়কে সমর্থন, প্রশাসনিক খরচ কমানো ও সরাসরি রোহিঙ্গাদের সহায়তায় প্রতি ডলার থেকে ৮২ সেন্ট ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম চালাচ্ছে সংস্থা, যা বর্তমানে রোহিঙ্গা শরণার্থী, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সহায়তাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
স্কাউ উল্লেখ করেন, ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা ও সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন। তিনি সতর্ক করেছেন যে, বৈশ্বিক তহবিলের ৪০ শতাংশ হ্রাসের কারণে বিভিন্ন দেশে কার্যক্রমে বড় ধরনের কাটছাঁট চলছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।