প্রখ্যাত বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর আর নেই

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিন্তক, লেখক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সকাল ১০টা ৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এই বুদ্ধিজীবী সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর ছিলেন। বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে বাংলাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দেশের প্রখ্যাত চিন্তক, লেখক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর আর নেই। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম লালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, অসুস্থ অবস্থায় তাকে বাসা থেকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এই খবরে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া।
বদরুদ্দীন উমরের জন্ম ১৯৩১ সালের ২০ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ১১ বছরের শিক্ষকতা শেষে সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত হন। তাঁর পিতা আবুল হাশিম ছিলেন ভারত উপমহাদেশের একজন খ্যাতিমান রাজনীতিক। পারিবারিক সেই ঐতিহ্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি দেশের রাজনীতি ও চিন্তাজগতে অবদান রাখতে শুরু করেন।
বদরুদ্দীন উমর ছিলেন একাধারে লেখক, চিন্তক ও সমাজ বিশ্লেষক। তাঁর লেখায় ছিল সমাজ পরিবর্তনের অঙ্গীকার। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধ এবং সমাজতান্ত্রিক রাজনীতি নিয়ে বহু প্রবন্ধ ও গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ আমার জীবন তাঁর আত্মজীবনীমূলক চিন্তা ও দর্শনের গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
চলতি বছর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য তাঁকে মনোনীত করা হলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে বিভিন্ন পুরস্কারের প্রস্তাব এলেও কোনোটি তিনি গ্রহণ করেননি। তাঁর মতে, মানুষের ভালোবাসাই প্রকৃত সম্মান।
বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে জাতি হারাল এক অসাধারণ চিন্তাশীল মানুষকে। রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি ছিলেন সততা ও আদর্শের প্রতীক। তাঁর অবদান ও চিন্তাধারা আগামী প্রজন্মের জন্য পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।