চট্টগ্রামে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ বিএনপির দু’পক্ষের, আহত ৮

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে রাস্তার কাজ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শহীদ জাকির হোসেন সড়কের কাজ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, যা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। সংঘর্ষে প্রায় ৮-১০ জন আহত হয়েছেন।
খবর অনুযায়ী, শহীদ জাকির হোসেন সড়কের কাজ নিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন এবং বিএনপি নেতা আহসান উল্লাহর মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এই বিবাদের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সন্ধ্যার পর আনোয়ারের অনুসারীরা পশ্চিম সোনাই গ্রামে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে বলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণা শুনে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় উভয় পক্ষের প্রায় ৮-১০ জন আহত হন। আহতরা মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শহীদ জাকির হোসেন সড়কের ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। তবে ঠিকাদার জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী কাজ শেষ না করেই পালিয়ে যান, যার কারণে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। পরে উপজেলা কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে কাজ পুনরায় শুরু হয়। স্থানীয় বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন কংক্রিট সরবরাহের দায়িত্বে থাকলেও, অপরপক্ষের নেতা আহসান উল্লাহ নিম্নমানের কংক্রিট সরবরাহ করছেন বলে অভিযোগ করেন। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা নুরুন্নবী, আব্দুল হাই, মোমিন, আহসানুল্লাহ, সোহাগ, ইমাম ও হোসেন হাসানসহ প্রায় ৮-১০ জন।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন জানান, ঠিকাদার জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী কাজ শেষ না করেই পালিয়ে যাওয়ায় রাস্তার কাজ বন্ধ ছিল। পরে স্থানীয় আনোয়ার হোসেন ও সোহাগের অনুরোধে ইউএনও এবং এলজিইডি প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে কাজ পুনরায় শুরু হয়। তবে কাজ শুরুর পর আনোয়ার হোসেন ও আহসান উল্লাহর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে বাকবিতণ্ডা এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করা হবে।
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিফাতুল মাজদার জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় মৌখিকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরোধ এবং সংঘর্ষের এই ঘটনা এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করেছে। উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।