অবিশ্বাস্য কিন্তু সত্যি! ছোট গাছেই কর্মক্ষমতা ১৫% পর্যন্ত বাড়তে পারে

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
আজকের তীব্র প্রতিযোগিতামূলক অফিস পরিবেশে কর্মীদের মানসিক চাপ এবং অবসাদ একটি সাধারণ সমস্যা। দীর্ঘ সময় কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে কাজ, ইমেল, মিটিং এবং সময়সীমার চাপ-সব মিলিয়ে কর্মীদের উপর চাপ বাড়ায়।
গবেষণা প্রমাণ করছে, ছোট একটি টব গাছ ডেস্কে রাখলে শুধু চোখকে স্বস্তি দেয় না, বরং মনের প্রশান্তি, মনোযোগ এবং কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে কর্মক্ষেত্রে প্রোডাক্টিভিটি এবং সৃজনশীলতা বাড়তে পারে।
বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ও ফলাফল-
◑ মানসিক চাপ হ্রাস: গাছের সবুজ রঙ দেখলে কর্টিসল হরমোনের উৎপাদন কমে। এটি মানসিক চাপ হ্রাসে সাহায্য করে।
◑ মনোযোগ বৃদ্ধি: গাছের উপস্থিতি "ভিজ্যুয়াল ব্রেক" দেয়, যা কর্মীদের মনোযোগ পুনরায় কেন্দ্রীভূত করতে সহায়ক।
◑ কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি: গবেষণায় দেখা গেছে, ডেস্কে টব গাছ রাখলে কর্মক্ষমতা প্রায় ১৫% বৃদ্ধি পায়।
◑ মেজাজ ও মনোবল উন্নয়ন: সবুজ পরিবেশ কর্মীদের মনোবল বাড়ায় এবং মানসিক অবসাদ দূর করে।
কেন গাছ কাজ করে?
১) হিউম্যান-নেচার সংযোগ: মানুষ প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগে মানসিক শান্তি অনুভব করে। "বায়োফিলিক ডিজাইন" নামক ধারণা অনুযায়ী, প্রাকৃতিক উপাদান যেমন গাছ, জল বা সবুজ স্থান মানুষের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা উন্নত করে।
২) মানসিক চাপ কমানো: গাছের উপস্থিতি ক্লান্তি এবং হতাশা কমায়। চোখের ক্লান্তি কমে, মানসিক চাপ কমে এবং ঘুমের মানও ভালো হয়।
৩) মনোযোগ ও সৃজনশীলতা বাড়ানো: গবেষণায় দেখা গেছে, গাছের পাশে বসলে একঘেঁয়েমি ও মানসিক চাপের কারণে মনোযোগ হারানোর ঘটনা কমে। এক্সপেরিমেন্টে কর্মীদের দৃষ্টিশক্তি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
৪) অফিস পরিবেশকে সতেজ রাখা: গাছ পরিবেশকে ভিজ্যুয়াল ও মানসিকভাবে সতেজ করে। গাছের উপস্থিতি কেবল অফিসকে সুন্দর নয়, কর্মীদের মনোভাবকে ইতিবাচক রাখে।
সহজে রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য এবং মানসিক স্বস্তি প্রদানকারী গাছগুলো:
⇨ স্নেক প্ল্যান্ট (Snake Plant): বাতাস পরিশোধক, কম আলোতেও বৃদ্ধি পায়।
⇨ এলোভেরা (Aloe Vera): সহজ পরিচর্যা, হেলদি বাতাস ও মনকে শান্ত রাখে।
⇨ পাথোস (Pothos): হালকা আলোতেও ভালো, ডেস্কে রাখা যায়।
⇨ সুকুলেন্টস (Succulents): কম যত্নে, ছোট টবেই বৃদ্ধি পায়।
বাস্তব জীবনে প্রয়োগের উদাহরণ
⇨ ডেস্কে ছোট টব গাছ: প্রতিটি কর্মীর ডেস্কে রাখা যেতে পারে।
⇨ ক্লাসিক অফিস করিডর: বড় পাত্রে গাছ রাখলে পুরো কক্ষের বাতাস এবং পরিবেশ সতেজ হয়।
⇨ মিটিং রুম ও সাধারণ এলাকার জন্য: সবুজ উপস্থিতি মানসিক চাপ কমায় এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করে।
⇨ সাপ্তাহিক পরিচর্যা: নিয়মিত পানি, আলো, এবং মাটির পুষ্টি দেওয়া যেতে পারে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।