দক্ষিণ পাশে গাছ লাগিয়ে যেভাবে বিদ্যুৎ বিল কমানো সম্ভব!

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
গরমের দেশে বসবাস মানেই বছরের অর্ধেক সময় গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। ঘর ঠাণ্ডা রাখতে দিনের পর দিন চলে ফ্যান, কুলার কিংবা এসি। এর সঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুতের খরচ, চাপ পড়ছে মাসিক বিলের অঙ্কে। অথচ খুব সাধারণ একটি প্রাকৃতিক কৌশলেই এ ব্যয় কমানো যায়-বাড়ির দক্ষিণ পাশে গাছ লাগানো। সূর্যের অবস্থান আর তাপের খেলা
বাংলাদেশসহ উত্তর গোলার্ধের দেশগুলোতে দিনের সবচেয়ে তীব্র রোদ আসে দক্ষিণ দিক থেকে। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সূর্যের সোজা আলো দক্ষিণ দিকের দেয়াল ও ছাদে পড়ে। এর ফলে ঘরের ভেতর গরম জমে থাকে, এয়ারকন্ডিশনার বা ফ্যান চালাতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দক্ষিণ পাশে বড় গাছ থাকলে সেই আলো সরাসরি ঘরে ঢুকতে পারে না। গাছের ঘন পাতার ছায়া দেয়াল ঠাণ্ডা রাখে, ছাদ অতটা উত্তপ্ত হয় না, ঘর থাকে অনেকটা শীতল।
গাছ শুধু ছায়াই দেয় না, পাতা থেকে বের হয় জলীয়বাষ্প। বৈজ্ঞানিকভাবে একে বলে ট্রান্সপাইরেশন। এই প্রক্রিয়ায় বাতাস ঠাণ্ডা হয়, আশপাশের পরিবেশ ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম তাপমাত্রার হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘরের দক্ষিণ বা পশ্চিম পাশে কৌশলগতভাবে গাছ লাগানো হলে একটি পরিবারের বিদ্যুৎ খরচ ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
কোন গাছ উপযোগী?
বড় পাতাওয়ালা ও দ্রুত বেড়ে ওঠা গাছ-যেমন আম, কাঁঠাল, শিরিষ বা নিম। এমন গাছ যেগুলো গ্রীষ্মে ঘন ছায়া দেয় আর শীতে পাতাঝরা হলে সূর্যের আলো ঘরে ঢুকতে পারে। শিকড় যাতে মাটির গভীরে যায় এবং ভবনের ক্ষতি না করে, সেটাও খেয়াল রাখতে হয়।
শুধু বিদ্যুৎ বিল নয়, বাড়তি উপকারও
⇨ দক্ষিণ পাশে গাছ লাগানোর সুবিধা শুধু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সীমাবদ্ধ নয়।
⇨ বাতাস থাকে ঠাণ্ডা ও স্বাস্থ্যকর।
⇨ ধুলোবালি ও শব্দদূষণ কমায়।
⇨ পাখি ও জীববৈচিত্র্যের জন্য আশ্রয় তৈরি করে।
⇨ মানসিক প্রশান্তি ও বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
শহুরে জীবনে বিদ্যুৎ বিল কমানো যেন এক বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু দক্ষিণ পাশে সঠিকভাবে লাগানো কয়েকটি গাছ হতে পারে এর সহজ সমাধান। প্রকৃতির ছায়ায় যেমন ঘর থাকে ঠাণ্ডা, তেমনি বিদ্যুতের বিলেও আসে স্বস্তি। পরিবেশবান্ধব এই কৌশল শুধু অর্থ সাশ্রয় নয়, আমাদের জীবনযাত্রাকেও করে তোলে টেকসই।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।