সরকার অখুশি হবে এমন সংবাদ প্রকাশে ভয় পাচ্ছে গণমাধ্যম

সরকার অখুশি হবে এমন সংবাদ প্রকাশে ভয় পাচ্ছে গণমাধ্যম
  • Author,
  • Role, জাগরণ নিউজ বাংলা

গণমাধ্যমকর্মীরা কাজ করতে গিয়ে যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি চাপের মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেন, সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা বা সরকার অখুশি হবে, এমন সংবাদ প্রকাশে ভয় পাচ্ছে গণমাধ্যম। আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জি এম কাদের এসব কথা বলেন। জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠিয়েছেন।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের (আরএসএফ) ২০২৪ সালের প্রতিবেদনের এক তথ্য উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, এই রিপোর্ট বলছে, সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বে সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় অসংখ্য কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এর ফলে সাংবাদিকদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। গণমাধ্যমগুলো ভয়ার্ত পরিবেশে নিজেরাই সেলফ সেন্সরশিপ (স্ব–আরোপিত নিয়ন্ত্রণ) চালু করেছে।

ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) উদ্ধৃতি দিয়ে বিবৃতিতে জি এম কাদের বলেন, গত কয়েক মাসে ইলেকট্রনিক মিডিয়া থেকে ১৫০ জনের অধিক  গণমাধ্যমকর্মী এবং  অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়া থেকে প্রায় ২০০ জন কর্মী চাকরিচ্যুত হয়েছেন। এর ফলে এসব গণমাধ্যমকর্মীর পরিবারে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। একই সময়ে এত গণমাধ্যমকর্মীর চাকরি হারানোর ঘটনা নজিরবিহীন। কিছু কিছু গণমাধ্যমকর্মী জানিয়েছেন, প্রচ্ছন্ন চাপের কারণে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না তাঁরা। সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা বা সরকার অখুশি হবে এমন সংবাদ প্রকাশে ভয় পাচ্ছে গণমাধ্যম।

গণতন্ত্রের সুফল সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সবার আগে গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং অযথা হয়রানি বন্ধ ও চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

হাসিনা শাসনামলের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের এক বিবৃতিতে বলছিলেন, যে কোনো সময়ের তুলনায় সাংবাদিকরা এখন বেশি চাপের মুখে। গত কয়েক মাসে অসংখ্য সংবাদকর্মী চাকরি হারানোর কারণে, তাদের মধ্যে আতঙ্ক। ভয়ার্ত পরিবেশে  ‘সেলফ সেন্সরশিপ’ চালু করেছে গণমাধ্যম।  


সম্পর্কিত নিউজ