সাপে কামড়ায় গ্রামে, এন্টিভেনমও গ্রামে থাকতে হবে

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
সাপে কামড়ের ঘটনা গ্রামে বেশি ঘটে, কিন্তু এন্টিভেনম সহজলভ্য না থাকায় প্রাণহানি বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এন্টিভেনম সরবরাহ ও চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ জরুরি। জানুন সাপে কামড় প্রতিরোধ, গ্রামীণ স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও জীবনরক্ষায় দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করার কার্যকর উপায় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য।
দেশে সাপে কামড়ানোর ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে গ্রামীণ জনপদে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বছরে হাজারো মানুষ এ কারণে ঝুঁকির মুখে পড়ে। তবে এন্টিভেনম বা সাপের বিষনাশক ওষুধ গ্রামে সহজলভ্য না হওয়ায় অনেকে সময়মতো চিকিৎসা পান না। এর ফলে মৃত্যুহার বাড়ছে এবং গ্রামীণ স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সাপে কামড়ানোর ঘটনাগুলোর ৮০ শতাংশই গ্রামীণ এলাকায় ঘটে। ধানক্ষেত, জলাশয়, বাঁশঝাড় ও ঝোপঝাড়ে কাজ করতে গিয়ে কৃষক, নারী ও শিশু বেশি আক্রান্ত হন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্তরা নিকটবর্তী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে সেখানে এন্টিভেনম পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে রোগীকে জেলা সদর বা বিভাগীয় হাসপাতালে নিতে হয়। দীর্ঘ যাত্রাপথে দেরি হওয়ায় অনেকের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এন্টিভেনম প্রতিটি উপজেলা হাসপাতাল এবং প্রয়োজনে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রাখতে হবে। পাশাপাশি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও গ্রামীণ জনগণের সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। কারণ অনেক সময় গ্রামাঞ্চলে ভ্রান্ত ধারণা বা ঝাড়ফুঁকের ওপর নির্ভরশীলতা রোগীর মৃত্যু ত্বরান্বিত করে।
সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা জানিয়েছে, সাপে কামড় প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য বিশেষ কর্মসূচি চালু করার পরিকল্পনা আছে। স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সমন্বয়ে গ্রামীণ এলাকায় দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলেন, সাপে কামড় প্রতিরোধের পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য সময়মতো এন্টিভেনম দেওয়া জীবন বাঁচানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তাই গ্রামে সাপে কামড় হলে ওষুধও গ্রামে থাকতে হবে, এটাই এখন সময়ের দাবি।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।