কার ভুলে কুকুর খেয়ে ফেলল নবজাতকের মাথা, হাসপাতালে হাহাকার

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
নবজাতককে মৃত ঘোষণা করার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে মৃতদেহটি শিশুর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর কয়েকটি কুকুরকে তাড়ানোর চেষ্টা করে অনেকে। তবে ইতোমধ্যেই কুকুরগুলো শিশুটির মাথা খেয়ে ফেলে। হাসপাতাল প্রশাসন এমন হৃদয়বিদারক ঘটনায় দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে এবং শিশুটির পরিবারকে অবহেলার জন্য দোষারোপ করেছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের উত্তর প্রদেশের ললিতপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ঘটনা হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
নবজাতকটি ৯ ফেব্রুয়ারি (রোববার) ললিতপুর মেডিকেল কলেজের ডিস্ট্রিক্ট উইমেন্স হসপিটালে জন্মগ্রহণ করে। শিশুটি অপর্যাপ্ত ওজন এবং অসুস্থ ছিল, যার কারণে তাকে স্পেশাল নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে (এসএনসিইউ) ভর্তি করা হয়।
চিফ মেডিকেল অফিসার ডা মীনাক্ষী সিংহ বলেন, 'শিশুটি জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মেছিল। তার মাথা পুরোপুরি পূর্ণতা পায়নি। তার মেরুদণ্ডও ছিল না এবং ওজন ছিল ১.৩ কেজি। যখন আমরা তাকে এসএনসিইউ তে স্থানান্তর করি, তখন শিশুটির হার্ট রেট ছিল মিনিটে ৮০ বিট। আমরা নিশ্চিত ছিলাম না যে শিশুটি বাঁচবে কি না।
তিনি আরও বলেন, শিশুটি সন্ধ্যার মধ্যে মারা যায়। তারপর তার মরদেহ পরিবার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ডা. সিংহ জানান, 'শিশুটির পিসি (মামী) মরদেহ নিয়ে গিয়েছিলেন। আমাদের কাছে পিসির থাম্ব ইমপ্রেশনসহ মৃতদেহ গ্রহণ করার রেকর্ড রয়েছে।'
মঙ্গলবার দুপুরে কুকুরের আক্রমণের খবর পায় হাসপাতাল প্রশাসন। তদন্তের পর, শিশুটির মাথাহীন মরদেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। হাসপাতাল প্রশাসন অভিযোগ করেছে, পরিবার শিশুটির মরদেহ ফেলে চলে গেছে।
ডা. সিংহ বলেন, 'আমরা মনে করি পরিবার শিশুটির মরদেহ একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ফেলে দিয়েছে। হাসপাতালের ট্যাগ যুক্ত ছিল, এভাবে আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি।'
মরদেহটি পুলিশকে জানানোর কয়েক ঘণ্টা পরে সরানো হয়।ললিতপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডি নাথ চার চিকিৎসকের একটি কমিটি গঠন করেছেন এবং নবজাতক সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ একটি তদন্ত রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এটি প্রথমবার নয়,আগেও এই হাসপাতালটি অবহেলার জন্য সমালোচিত হয়েছে।