মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ইতোমধ্যে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন। গত ৩৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে তিনি ট্রাইব্যুনালে ঘটনার সত্যতা তুলে ধরে জবানবন্দি দেন। এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও আসামির তালিকায় রয়েছেন। এরইমধ্যে মোট ৪৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, বাকি কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে চলতি মাসেই এ অধ্যায় শেষ হবে।

প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস এইচ তামিমসহ অন্যরা। অন্যদিকে, পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম-খুন ও হত্যাকাণ্ডের দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ওঠে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংঘটিত এসব অপরাধে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, প্রশাসনের অংশবিশেষ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠিত হয়।

১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার আদেশ দেন। এ মামলার বাইরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।