ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ দিয়েছে জাতিসংঘ কমিশন

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন। গাজায় বিমান হামলা, অবরোধ ও বেসামরিক জনগণের উপর আক্রমণকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দায়ীদের বিচারের আহ্বান জানিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে কমিশন জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুধু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনই করেনি, বরং পরিকল্পিতভাবে সাধারণ জনগণকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। এতে নারী ও শিশুসহ হাজারো নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের মতে, গাজায় ধারাবাহিক বিমান হামলা, অবরোধ এবং চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা বন্ধ রাখা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গণহত্যার শামিল। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসামরিক স্থাপনা, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শরণার্থী শিবিরেও হামলা চালানো হয়েছে, যা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
তদন্ত কমিশন বলেছে, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ শুধু তাৎক্ষণিক প্রাণহানি নয়, দীর্ঘমেয়াদে গাজার সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকেও ধ্বংস করেছে। ফলে সেখানে মানবিক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কমিশন বলেছে, দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
অন্যদিকে, ইসরায়েল এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, তাদের সামরিক অভিযান আত্মরক্ষার অংশ এবং লক্ষ্য ছিল সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটি ধ্বংস করা। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, হামলাগুলোতে তারা যথাসম্ভব বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বড় ধরনের বিতর্ক তৈরি করবে। অনেক দেশ ইতোমধ্যেই গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। তবে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর ভূমিকাই শেষ পর্যন্ত এ ইস্যুর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।