নুরাল পাগলার দরবার হামলায় আট জনের জবানবন্দি

- Author,
- Role, জাগরণ নিউজ বাংলা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের আলোচিত নুরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় আটজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে স্থানীয় একটি মসজিদের দুইজন ইমাম এবং ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন নেতাও রয়েছেন। সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীব।
পুলিশ জানায়, নুরাল পাগলার দরবারে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হত্যাকাণ্ড ও লাশ পোড়ানোর ঘটনায় আটজন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় আরও ১৬ জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে আটজন আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিহত ভক্ত রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দঘাট থানায় মামলা করেন। মামলায় হত্যাসহ অগ্নিসংযোগ, চুরি, ক্ষতিসাধন, জখম ও লাশ পোড়ানোর অভিযোগ আনা হয়। এতে অজ্ঞাতপরিচয় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় উপপরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেন।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। কেউ প্রভাব বিস্তার বা অনৈতিক তদবির করলে তাকেও আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলেম সমাজের দাবি মেটাতে আন্তরিকতা দেখানো হয়েছিল। তিনটি দাবির মধ্যে দুটি পূরণ করা হলেও বিক্ষোভ ঠেকানো যায়নি। তিনি বলেন, “আমরা আলেম সমাজকে শান্তিপূর্ণভাবে থাকার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে অনাকাঙ্ক্ষিত হামলা ঘটে যায়।”
প্রসঙ্গত, গত ২৩ আগস্ট নুরাল পাগলার মৃত্যু ও তার মরদেহ ১২ ফুট উঁচুতে দাফনকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর ধারাবাহিকতায় ৫ সেপ্টেম্বর দরবারে হামলা চালিয়ে ভক্ত রাসেল মোল্লাকে হত্যা ও মরদেহ উত্তোলনের পর মহাসড়কে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আপনার প্রতিক্রিয়া জানান
মন্তব্যসমূহ
এই সংবাদের জন্য এখনো কোনো মন্তব্য নেই।